ঢাকা     শুক্রবার   ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ||  পৌষ ২৭ ১৪৩১

দাবানল যেভাবে সৃষ্টি হয়

সাতসতেরো ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ১০ জানুয়ারি ২০২৫   আপডেট: ১৩:৩০, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
দাবানল যেভাবে সৃষ্টি হয়

পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস। ছবি: সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল একাধিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৫০ মাইল বেগে ছুটছে দাবানলের আগুন। দেখতে দেখতে ঘরবাড়ি পুড়ে ছাইয়ের স্তুপে পরিণত হচ্ছে। কোনো কোনো গবেষকের মতে, মাত্র ১ শতাংশ দাবনল প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়। এগুলোর মধ্যে বজ্রপাত এবং আগ্নেয়গিরির আগুনই সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য কারণ। আমেরিকার বনাঞ্চলে বছরে প্রায় ১ লাখ বার আগুন লাগে। এর ফলে প্রায় ২০ লাখ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

দাবানল বলতে সাধারণত বনাঞ্চলে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডকে বোঝায়। শুষ্ক মৌসুমে কোনো বনে আগুন লাগলে তা সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। বনের ছোট পাতা থেকে শুরু করে ছোট-বড় গাছ এই আগুনে পুড়ে যায় এবং আগুনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে থাকে। দাবানলের আগুন ঘণ্টায় ৫০ মাইল বেগে চলতে সক্ষম। ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের মতে, আমেরিকার প্রায় ৮৫ শতাংশ দাবানল মানুষের কারণে হয়ে থাকে। অযত্নে ফেলে রাখা ক্যাম্প ফায়ারের আগুন বা সিগারেটের আগুনের মতো মানুষের অসতর্ক হয়ে ফেলে রাখা আগুন থেকে দাবানল সৃষ্টি হয়।

বিগত তিন দশকের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন বন, আফ্রিকার কঙ্গো রেইন ফরেস্ট এলাকাসহ অনেক ভূমি মানবসৃষ্ট দাবানলে পুড়েছে। অনেক সময় চাষাবাদের জন্য নতুন জমি সৃষ্টি করতে বনে আগুন দেওয়া হয়। দাবানলের আগুন থেকে অগ্নিঝড়, টর্নেডো তৈরি হতে পারে। এর ছাই বহুদূর এমনকি ৩ হাজার মাইল দূর পর্যন্ত চলে যেতে পারে। 

আরো পড়ুন:

প্রাকৃতিকভাবে দাবানল সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ বজ্রপাত। এর ফলে বিভিন্ন স্থানে শুরুতে ছোট ছোট দাবানলের সৃষ্টি হয়। বাতাসের সংস্পর্শে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। আবার দাবানলের ফলে বনেরযাবতীয় ক্ষতিকর পোকামাকড় ধ্বংস হয়। রোগবাহী জীবাণুও নষ্ট হয়ে যায়। গাছ পুড়ে যে ছাই ছড়িয়ে পড়ে সেই ছাইয়ের ওপর আবার রোদ ও বৃষ্টি পড়ে ছাই থেকেই বেড়ে ওঠে নতুন বৃক্ষ, লতা। আবার তৈরি হতে শুরু করে বন। যেভাবেই ঘটুক নির্দিষ্ট সময় পর বনের বাস্তুসংস্থান আবার নতুন করে গড়ে ওঠে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়