করোনা: ৫০ টাকার মাস্ক কেন ১৫০ টাকা?
ছবি : শাহীন ভূঁইয়া
বাংলাদেশে তিন জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর মাস্কের দাম বেড়েছে তিনগুণ। একদিনের ব্যবধানেই ৫০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সোমবার (৯ মার্চ) রাজধানীর শনিরআখড়া, পল্টন, কাকরাইল, ফার্মগেট থেকে শুরু করে মিরপুর এলাকার ফার্মেসিগুলোয় খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে, কেন তিনগুণ দাম বাড়লো—এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার (৮ মার্চ) মাঝারি মানের মাস্কের দাম ছিল ১০ টাকা পিস। পরদিন পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আগেরদিন সাধারণ মানের মাস্কের প্রতি পিস ৫ টাকা ছিল, ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৫ টাকা দামের চায়না মাস্ক ৭৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর ৫০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
এই প্রসঙ্গে শনির আখড়ার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই-একদিনের ব্যবধানে ২০০ টাকা করে বিক্রি করতে হবে।’
এই ব্যবসায়ীর ফার্মেসি থেকে আতিক নামের এক ব্যক্তি এক ডজন মাস্ক ৩৬০ টাকায় কেনেন।
জানতে চাইলে আতিক বলেন, ‘এখন না কিনলে পরে হয়তো আরও অনেক বেশি দামে কিনতে হবে। তাই একসঙ্গে একডজন নিলাম।’
খুচরা বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, দেশে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার পর পাইকারি বাজারে মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কী দোষ? আমরা তো পাইকারি কিনে, খুচরা বিক্রি করি। পাইকারি বিক্রেতা যদি দাম বাড়িয়ে দেন, আমাদের তো দাম বাড়াতে হবে। পাইকারি বিক্রেতা যে হারে দাম বাড়িয়েছেন, আমরা কিন্তু সে হারে বাড়াতে পারছি না। আপনি দেখেন চায়না মাস্কের পাইকারি দাম বেড়েছে ৭০ টাকা। পাইকারি দাম ২৫ টাকা ছিল, তখন বিক্রি করতাম ৫০ টাকা। তাতে ২৫ টাকা লাভ হতো। এখন ১০০ টাকায় কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছি। অনেকেই ১৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। তারা বলছেন, তারা বেশি দামে কিনেছেন, তাই বেশি দামে বিক্রি করছেন।’
এদিকে, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে দেশে মাস্কসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের দাম বেশি না নিতে পারে এবং মজুত করতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘শিগগিরই আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো।’
আদালতের নির্দেশনার পরও বাড়তি দামে মাস্ক বিক্রি করেছে রাজধানীর ফার্মেসিগুলো। এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ফার্মেসিগুলোয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংক্ষরণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। এই সময় ফার্মগেটে ‘সুনান ফার্মা’কে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন