ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিকে জরিমানা ১০ লাখ
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা হয় এমন ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৮ জুন) বেলা ১২টা থেকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক ও অনিয়মের খোঁজে ভ্রাম্যমাণ আদালত শুরু করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু। এসময় ইউনানির সনদ নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতো অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দেওয়ার দায়ে ভুয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আর হাসপাতালের বিভিন্ন অনিয়মের কারণে সহকারী সুপার হাসিনুর রহমানেক চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটশন রেজিস্ট্রেশন বা ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহার করা হয় এমন ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য পাওয়ায় ফার্মেসির শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিলকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এর আগে ভুয়া চিকিৎসক মিজানুর রহমানের বিষয়ে পলাশ বসু জানান, তিনি ইউনানি প্র্যাকটিশনার বা হেকিম। কিন্তু তার কাছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ, পিএইচডিসহ বিভিন্ন সার্টিফিকেট আছে। তার পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি ইউনানি পড়ে অ্যালোপ্যাথিক মেডিসিনে প্রেসক্রাইব করতেন। কিন্তু তিনি অ্যালোপ্যাথিকে চিকিৎসা এবং ডাক্তার পরিচয় দিতে পারেন না। যেহেতু তিনি ইউনানি সনদধারী সেহেতু তিনি হেকিম পরিচয় দিতে পারেন।
এছাড়া তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতো রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা করাতেন। এজন্য তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নূর/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন