ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

স্বাস্থ্য শিক্ষা সেল স্থাপনে দুদকের চিঠি

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৬, ২১ আগস্ট ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্বাস্থ্য শিক্ষা সেল স্থাপনে দুদকের চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক : তৃণমূল পর্যন্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা সেল স্থাপন করতে অনুরোধ জানিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বরাবর পাঠানো চিঠিতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ অনুরোধ করেন।

চিঠিতে বলা হয়, দেশের মানুষের গড় আয়ুবৃদ্ধি, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথা সরকারের ঈর্ষণীয় সাফল্য প্রশংসার দাবি রাখে। অপ্রিয় হলেও সত্য স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ম্রিয়মান। আধুনিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মূলভিত্তি হচ্ছে ‘প্রতিরোধ প্রতিষেধকের চেয়ে উত্তম’। একথাও সত্য যে, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ মাঝে মাঝে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ইস্যু নিয়ে গণমাধ্যমে কিছু তথ্য প্রচার করে থাকে। একারণে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ইস্যুতে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। একথা অনস্বীকার্য যে, আমাদের দেশের মানুষদের পরিবেশগত কারণেও সংক্রামক রোগের প্রকোপসহ বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনাচারে সর্বস্তরে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যের নিবিড় বা বহুল প্রচার ও প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

চিঠিতে ইকবাল মাহমুদ আরও উল্লেখ করেছেন, দুদক মনে করে এই বিশাল জনসংখ্যার দেশে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য-শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারের জন্য অন্তত: উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা সেল স্থাপন করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। শুধু সেল স্থাপন নয় তাদের চার্টার অব ডিউটিজ-এ সুনিদিষ্ট কর্ম বন্টন করা সমীচীন। এই কর্মবন্টন অনুসরণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের কোমল হৃদয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুশীলন করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত এসব স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাগণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অবহিত করবেন। তাদের কোমল হৃদয়ে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনের বীজবপন করবেন। শিক্ষার্থীদেরকে হাত ধোয়া থেকে শুরু করে সকল প্রকার পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, মশা-মাছিসহ কীটপতঙ্গ বাহিত রোগ প্রতিরোধ, আর্সেনিকসহ সকল প্রকার পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধ, পরিবেশ দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষার উপায়, স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যাভাস, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত পরিবর্তিত পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়ানোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে পারেন। এছাড়া স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে তৃণমূল পর্যায়ের যেখানে জনসমাগম ঘটে এমন স্থান যেমন-গ্রোথ সেন্টার, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন স্থানে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন, নাটক, গানসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা যেতে পারে।

এভাবে সচেতন করা গেলে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে পরবর্তী প্রজন্ম অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। সর্বোপরি জনস্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করা গেলে মানুষের চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস পেতে পারে। একই সঙ্গে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে কমিশন মনে করে, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানে যেসব অনিয়ম, দুর্নীতি বা হয়রানির কথা শোনা যায় তা বহুলাংশে কমে আসবে।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ আগস্ট ২০১৯/এম এ রহমান/নবীন হোসেন

রাইজিংবিডি.কম


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়