ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার চালু স্বাস্থ্য খাতে নবদিগন্তের সূচনা’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৫৫, ১ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৬:০৫, ১ জানুয়ারি ২০২৪
‘বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার চালু স্বাস্থ্য খাতে নবদিগন্তের সূচনা’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোটি টাকার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট ২০ লাখ টাকার মধ্যে, ৪০ লাখ টাকার কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট ৩ লাখ টাকায় এখানে করা হচ্ছে। গত চার মাসে স্বল্প ব্যয়ে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সফলভাবে ১৭টি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সফলভাবে প্রথমবারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট সম্পন্ন হয়েছে। জোড়া শিশু আলাদা করা হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই রোবটিক সার্জারি, হেয়ার ইমপ্ল্যান্ট চালু করা হবে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার চালুতে স্বাস্থ্য খাতে নবদিগন্তের সূচনা হয়েছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউতে ‘সেন্টার ফর ব্লাড, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন অ্যান্ড স্টেম সেল থেরাপি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, গত বছর এই দিনে সফল লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়েছিল। লিভার দাতা ও গ্রহীতা দুজনেই সুস্থ আছেন। বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন সেন্টার থেকে যেসব রোগী সেবা নেবেন, তারাও সুস্থ থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই এই বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেল, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন রক্তরোগের আধুনিকতম চিকিৎসাগুলোর মধ্যে অন্যতম। সারা পৃথিবীতে লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, মায়েলোমাসহ রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। রোগ নির্ণয়ের সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায় বাংলাদেশেও রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। লিউকেমিয়াসহ রক্তের ক্যান্সার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তারা বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে হেমাটোপয়েটিক স্টেম সেল, বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। মায়েলোমা, লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, থ্যালাসেমিয়াসহ রক্তের ক্যান্সার ও রক্তরোগের রোগীদের চিকিৎসায় সহজে এবং সুলভে বোনম্যারো ট্রান্স প্ল্যান্টেশনের সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে এ দেশের স্বাস্থ্য খাতে নবনির্মিত এ সেন্টার বড় ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি দেশের রক্তরোগ চিকিৎসকদের বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণকেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় ট্রান্সপ্ল্যান্ট সেন্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এ সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগকে বিশ্বমানের হেমাটোলজি চিকিৎসাকেন্দ্রে পরিণত করবে এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্সে পরিণত করবে। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দীন শাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ এবং উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রোভস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, হেমাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. মো. রফিকুজ্জামান খান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. রেজাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়া/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়