‘দেশে বছরে ৩ হাজার রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের রোগীরা ঘরে বসে ব্যথার ওষুধ খেয়ে থাকেন। নিজেরা ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ব্যথার ওষুধ খেলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কিডনি নষ্ট হয়ে যাবে। দেশে ১৭ হাজার রোগী কিডনির ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকেন এবং প্রতি বছর প্রায় তিন হাজার রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয়।

তিনি বলেন, যখনই কোনো মানুষের শরীরে সন্ধিতে ব্যথা অনুভব করবেন, তখনই রিউমাটোলোজি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। সেখানকার পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। রোগ ধরা পড়লে এবং চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক চলাচল করলে- এ রোগের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। ব্যথা নিয়ে ঘরে বসে থাকলে ক্ষতি হবে। এটি এমন রোগ, যা শরীরের অন্যান্য অংশকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। রিউমাটয়েড আর্থাইটিসের চিকিৎসা না করলে মানুষ পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকবে। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধিত হয়। এমন রোগীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুচিকিৎসা পাবেন।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ‘রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস-এ সুন্দর ভবিষ্যৎ: প্রয়োজন দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং যথাযখ চিকিৎসা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) রিউমাটয়েড আর্থাইটিস সচেতনতা দিবসে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

দিবসটি উপলক্ষে বিএসএমএমইউতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করে রিউমাটোলোজি বিভাগ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বটতলা, এ-ব্লক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি হয়ে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া, এ ব্লক মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
 
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলোজি বিভাগ সুনাম বয়ে আনছে। ভালো গবেষণার মাধ্যমে আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধি করেছে।

শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রিউমাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিনহাজ রহিম চৌধুরী, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, সহেযাগী অধ্যাপক (সার্জিক্যাল অনকোলোজি) ডা. মো. রাসেল, রিউমাটোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, সহকারী  অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) সৈয়দ জামিল আব্দাল, উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগী উপস্থিত ছিলেন।