ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

হাসপাতাল-ক্লিনিকে ঝোলানো হয়েছে লাইসেন্স

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
হাসপাতাল-ক্লিনিকে ঝোলানো হয়েছে লাইসেন্স

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। সে অনুযায়ী হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে লাইসেন্সের কপি ও তথ্য কর্মকর্তার নাম প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য সরকারের জারি করা ১০ দফা নির্দেশনা অনুযায়ী লাইসেন্সের কপি ও তথ্য কর্মকর্তার নাম প্রদর্শন করা হচ্ছে, যা আগে ছিল না।

গত বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রবেশপথে লাইসেন্সের কপি টাঙানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকলসহ ১০ দফা নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে পালন করতে হবে বলেও জানায় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।

বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে পালনীয় ১০ নির্দেশনা হলো—
১. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশপথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে।

২. সব বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একই সঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে।

৩. যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল হিসেবে আছে, কিন্তু শুধু ডায়াগনস্টিক অথবা হাসপাতালের লাইসেন্স আছে, তারা লাইসেন্সপ্রাপ্তি ছাড়া কোনোভাবেই নামে উল্লিখিত সেবা দিতে পারবে না।

৪. ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত, শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।

৫. বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সব শর্ত বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সব চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।

৭. হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে।

৮. কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়া যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ইন্টারভেনশনাল প্রসিডিউর করা যাবে না।

৯. সব বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে। 

১০. নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে অবশ্যই ‘অপারেশন সেন্টার এটিকুয়েট’ মেনে চলতে হবে।

মেয়া/রফিক

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়