‘কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে’
![‘কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে’ ‘কারো যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে’](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/sen-2404151131.jpg)
সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সামনে ডেঙ্গুর সিজন। একজন মানুষেরও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলে রেখেছি। এখন চিকিৎসকরা ডেঙ্গু চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। স্যালাইনের যে সঙ্কটের কথা ভাবা হয়েছে, সেটা নিয়েও আমি বৈঠক করেছি। এবার স্যালাইনের কোনো সঙ্কট হবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু যাতে না হয়, সেটাই আমাদের সবার প্রার্থনা। বিপর্যয় না হওয়ার জন্য কী করতে হবে, সেটা আপনারা ভালো করে জানেন। নিজ বাসাবাড়ি এবং যেসব পাত্রে পানি জমে, সেসব পাত্র পরিষ্কার রাখতে হবে। একজন মানুষেরও যাতে ডেঙ্গু না হয়, সেজন্যে আমাদের সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।
ঈদের ছুটিতে চিকিৎসকদের বিশেষ দায়িত্ব বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে বলতে চাই না যে, আমি কী করেছি। আপনারা নিজেরাই বলবেন যে, আমরা কতটা মনিটরিং করতে পেরেছি। যতটুকু সম্ভব আমি ঈদের সময়ে চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, মন্ত্রী হওয়ার আগেও এমন কোনো ঈদ নেই, যখন আমি হাসপাতালে যাইনি। এমন কোনো দুর্গাপূজা নেই, যখন হাসপাতালে যাইনি। আগে হাসপাতালে যেতাম, তার পরে উৎসবে যেতাম। ওই চিন্তা করে এবারও সেই ধারা বজায় রেখেছি। আগে আমি একটা হাসপাতালে যেতাম, এবার অনেকগুলো হাসপাতালে গিয়েছি। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে, দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের উৎসাহ দেওয়া, তারা যাতে ঠিকমতো কাজ করেন। সবকিছু ঠিকমতো হচ্ছে কি না, তাও দেখতে গিয়েছি।
সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি এবার না বলেই হাসপাতালে গিয়েছি। ঈদের আগের দিন যে কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছিলাম, আমি কাউকে বলে যাইনি। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকদের উপস্থিত দেখতে পেয়েছি। সিনিয়র ও জুনিয়র সব চিকিৎসক ছিলেন। ঈদ উদযাপন ও নববর্ষের ছুটিতে হাসপাতালের কার্যক্রম সব ভালোভাবে চলেছে।
‘এবার মন্ত্রণালয় থেকে একটা প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে ছুটিতে কাজ করা চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমি নিজে অনুভব করেছি। আমি যখন বার্নে কাজ করতাম, রাতে একটা মেয়ে না খেয়ে কাজ করেছেন। সব হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকত। ইচ্ছা করে এবার খাবার সরবরাহ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, যাতে ভালোভাবে তারা ঈদটা করতে পারেন’, বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মেয়া/রফিক
আরো পড়ুন