দুইপক্ষ মুখোমুখি, কার্যক্রম অচল
নির্বাচনের অর্থোপেডিক সোসাইটির কমিটি চান চিকিৎসকরা

বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে মুখোমুখি হয়ে পড়েছে বিবাদমান দুটি পক্ষ। এতে সোসাইটির কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে।
ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির পূর্ববর্তী কমিটি পদত্যাগ করলে এই প্রশাসনিক শূন্যতা সৃষ্টি হয়। গ্রুপিং বন্ধ করাসহ সোসাইটির কার্যক্রম সচল রাখতে নির্বাচনের মাধ্যমে অর্থোপেডিক সোসাইটির কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা জানান, বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটি ১৯৭৯ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে ঐতিহাসিক পরিক্রমায় একটি মর্যাদাপূর্ণ পেশাজীবী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
লিখিত বক্তব্যে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, “৫ আগষ্টের পর পূর্ববর্তী কমিটির সম্মিলিত পদত্যাগের পর জাতীয়তাবাদী অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে, কাউকে কিছু না জানিয়ে অল্পসংখ্যক চিকিৎসককে নিয়ে একটি মহল চর দখলের মত ফ্যাসিস্ট কায়দায় একটি কমিটি ঘোষণা করে। বিষয়টি সিনিয়র চিকিৎসকদের নজরে এলে সবার সম্মতিক্রমে নবীন প্রবীণের সমন্বয়ে ডা. ওয়াকিল, ডা. বিপ্লব এবং ডা. রবির নেতৃত্বে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী ড্যাব-এর শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি এ কমিটি পরিচিত সভায় ইতিপূর্বে স্বঘোষিত কমিটির কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেন।”
তিনি বলেন, “পরবর্তীতে সিনিয়র চিকিৎসকদের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষের কার্যকলাপ স্থগিত করে সম্মিলিত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। যদিও সিংহভাগ অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াকিল, ডা. বিপ্লব এবং ডা. রবি পরিষদের সাথেই ছিলেন। তবু বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এতে সম্মত হই। কিন্তু ঐ ক্ষুদ্র গোষ্ঠী পুনরায় আলাপ আলোচনার তোয়াক্কা না করে, ওয়াদা বরখেলাপ করে একটি পরিবর্তিত ও অগ্রহণযোগ্য কমিটি ঘোষণা করে যেখানে ফ্যাসিবাদী চক্রের সম্পৃক্ততা স্পষ্ট।”
“আমরা সিনিয়র চিকিৎসকদের সম্মতিতে যে ৮১ সদস্য করেছিলাম তা আজ ১৬১ সদস্য কমিটিতে রুপান্তরিত করলাম। পাশাপাশি সামনের কমিটি আমরা অর্থোপেডিক চিকিৎসকদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে চাই।”
এ সময় অর্থোপেডিক চিকিৎসক প্রফেসর হাসান মাসুদ, প্রফেসর পারভেজ এহসান, প্রফেসর মনিরুল আলম মিন্টু, ডা. ওয়াকিল, ডা. তাজুল ইসলাম রবি, ডা. শামিম, ডা. মাসুদ, ডা. শফিকুল ইসলাম, ডা. এবিএম জাকির হোসেন, ডা. কামরুল ইসলাম, হোসাইন রাসেল, ডা. মহসিন, ডা. শামিম, ডা. সাব্বির, ডা. ইমরানুর রহমান সনেট, ডা. জিয়া, মাসুম, ডা. মতিন, ডা. আশিক, ডা. রাজু, ডা. মামুন, ডা. রিফাত, ডা. সোহান, ডা. পলাশ, ডা. হিমেল, ডা. শিহাব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি