ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৩ মার্চ ২০২৫ ||  ফাল্গুন ২৮ ১৪৩১

সংকট নিরসনে বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ হবে ২ হাজার চিকিৎসক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১৩ মার্চ ২০২৫  
সংকট নিরসনে বিশেষ বিসিএসে নিয়োগ হবে ২ হাজার চিকিৎসক

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেছেন, “চিকিৎসক সংকট নিরসনে ৪৫, ৪৬ এবং ৪৭ বিসিএসে যথাক্রমে ৪৫০, ১৬৮২, ১৩৩১ জন চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান আছে। তিনটি বিসিএস চলমান থাকা সত্ত্বেও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিৎসকের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করায় একটি বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ৯ মার্চ জনপ্রশাসন বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।”

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, “সব ক্যাডারের জন্যে বয়সসীমা ৩২ করা হলে আনুপাতিক হারে বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের ক্ষেত্রে তা ৩৪ হওয়ার কথা হলেও সেটি এবার বৃদ্ধি করা হয়নি।আমরা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নিয়ে অনুরোধ জানালেও সেটি গৃহীত হয়নি। এর মধ্যে গত ৫ মার্চ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনটি সব পক্ষের সাথে আলোচনার পর চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেটিতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্তি, বর্জন বা পরিমার্জনের জন্যে কমিশনের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্যে অপেক্ষা করা হচ্ছে, যা দ্রুত পাওয়া যাবে।”

চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও বৈষম্যেরও অবসান করার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ পদে বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকারদের মধ্য থেকে দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়ন করা হয়েছে। পদোন্নতিযোগ্য বিশেষজ্ঞদের পদোন্নতিদানের জন্যে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সুপারনিউমারি পদ সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসকদের জন্যে নেওয়া উদ্যোগসমূহের পাশাপাশি আমরা নার্সসহ অন্যান্য সব সহায়ক জনশক্তির নিয়োগের প্রক্রিয়াকেও গতিশীল করেছি যেন সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ে সব শূন্যপদ পূরণ করা যায়।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে ধৈর্যধারণ করার জন্য অনুরোধ করছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের সব মানুষের জন্যে মানসম্মত স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমরা এই দেশটির কল্যাণমুখী রূপান্তরের জন্যে স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরনের পরিবর্তনের চেষ্টা করছি এবং সে লক্ষ্যে আপনাদের সবার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।”

ঢাকা/এএএম/এসবি


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়