ঢাকা     বুধবার   ১৫ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

করোনায় তিন দিনের ব্যবধানে দুই যমজ বোনের ‍মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করোনায় তিন দিনের ব্যবধানে দুই যমজ বোনের ‍মৃত্যু

তিন দিনের ব্যবধানে যুক্তরাজ্যে মারা গেলেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুই যমজ বোন। শিশুদের নার্স ৩৭ বছর বয়সী কেটি ডেভিস মঙ্গলবার সাউদাম্পটনের জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। একই হাসপাতালে শুক্রবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান তার যমজ বোন ও সাবেক নার্স এমা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এমা-কেটির আরেক বোন জো বলেছেন, ‘তারা সবসময় বলতো, পৃথিবীতে তারা একসঙ্গে এসেছে, যাবেও একসঙ্গে।’ তিনি বলেছেন, চমৎকার সম্পর্ক ছিল দুই বোনের। একসঙ্গেই থাকতেন তারা। তাদের দুজনেরই শারীরিক সমস্যা ছিল এবং কিছুদিন অসুস্থও ছিলেন। জো বলেছেন, ‘তারা কতটা বিশেষ ছিল সেটা বলার ভাষা নেই। তারা সবসময় চাইতো অন্যদের সাহায্য করতে। এমনকি ছোটবেলা থেকেই তারা চিকিৎসক ও নার্স সেজে পুতুলের সেবাযত্ন করতো। তারা যে রোগীদের দেখভাল করতো, তাদের জন্য সবকিছু করেছিল তারা। তারা ছিল অন্যরকম। তাদের মৃত্যু এখনো বাস্তব মনে হচ্ছে না।’

কেটি কাজ করতেন সাউদাম্পটনের শিশু হাসপাতালে, কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পরই হাসপাতালে ভর্তি হন এবং মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়। ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল সাউদাম্পটন এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী পলা হেড বলেছেন, ‘কেটিকে নিয়ে তার সহকর্মীরা বলতো…. নার্স যেমনটা হওয়া দরকার তেমনই ছিলেন কেটি এবং নার্সিং ছিল তার কাছে চাকরির চেয়েও বেশি কিছু। যারা আমাদের সেবা নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের হয়ে আমি তার পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’ কেটির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব নার্সিং।

বোনের মতো এমা ডেভিসও একই হাসপাতালের নার্স ছিলেন এমা ডেভিস। কোলোরেক্টাল সার্জারি ইউনিটে ৯ বছর কাজ করে ২০১৩ সালে চাকরি ছাড়েন। প্রধান নার্সিং কর্মকর্তা গেইল বায়ার্ন এক বার্তায় বলেছেন, ‘কেটির মতো তারও শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। ভর্তি হওয়ার আগেই তিনি অসুস্থ ছিলেন, যখন তার কোভিড-১৯ পজিটিভ এলো। এই ‍দুই বোনের মৃত্যু তাদের পরিবার ও আমরা যারা চিনতাম তাদের জন্য কতটা মর্মান্তিক ও বেদনার বলে বোঝানো যাবে না।’ এমার প্রশংসায় তিনি বলেছেন, ‘এমা ছিলেন চমৎকার একজন নার্স এবং খুব শান্ত, প্রাণবন্ত এবং ভালো নেতা। সবাই তাকে পছন্দ করতো এবং আমাদের সঙ্গে যখন কাজ করতো তখন দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।’

এমার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের প্রধান ফটকে হাততালি দিয়ে কেটিকে স্মরণ করেন হাসপাতাল কর্মীরা। সব মিলিয়ে এই মহামারিতে ৪০ ব্রিটিশ নার্সিং স্টাফের প্রাণহানির খবর দিয়েছে নার্সিং টাইমস।

 

ঢাকা/ফাহিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়