অধিকাংশ টিকাই ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে যে টিকাগুলো দেওয়া হচ্ছে তার অধিকাংশই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। তবে এগুলো গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাতে সক্ষম। রোববার নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাজারে প্রচলিত টিকাগুলো এখনও ওমিক্রন থেকে গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে একটি উল্লেখযোগ্য মাত্রার সুরক্ষা প্রদান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। কিন্তু শুধুমাত্র ফাইজার ও মডার্নার বুস্টার ডোজ সংক্রমণ বন্ধ করতে সফল বলে ট্রায়ালে জানা গেছে। কিন্তু এই টিকাগুলো অনেক দেশেই পাওয়া যায় না।
প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, আস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং চীন ও রাশিয়ায় তৈরিসহ অন্যান্য টিকাগুলো ওমিক্রনের বিস্তার বন্ধ করতে কিছুই করতে পারে না। তবে অধিকাংশ দেশ এই টিকাগুলো দিচ্ছে সেহেতু মহামারির নতুন এই পর্যায়ে ফাইজার ও মডার্নার টিকা দেওয়া দেশগুলোর সঙ্গে তাদরে ব্যবধান বাড়তে পারে।
চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক তাদের উৎপাদিত টিকার প্রায় অর্ধেক বিশ্বব্যাপী সরববরাহ করেছে। এই টিকা দুটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কোনো সুরক্ষাই দেয় না। চীনের জনগণ এই দুটি টিকাই পেয়েছে। এর বাইরে মেক্সিকো ও ব্রাজিলের মতো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে চীনের টিকা দুটি ব্যাপক হারে দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রাথমিক কার্যকারিতা গবেষণায় দেখা গেছে, অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকর নয়। ভারতের টিকাপ্রাপ্তদের ৯০ শতাংশ এর ডোজ পেয়েছেন। সাব-সাহারার দেশগুলোতে এই টিকাই সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় ৪৪টি দেশে অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার ছয় কোটি ৭০ লাখ ডোজ বিতরণ করা হয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি স্পূৎনিক আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে এই টিকাও কার্যকর নয়।
এক ডোজের কারণে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার চাহিদা আফ্রিকা অঞ্চলে বাড়ছে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে এই টিকা নগণ্য পরিমাণে কার্যকর।
টিকা ব্যবস্থাপনার বৈশ্বিক জোট গাভির কর্মকর্তা ড. বার্কলি বলেছেন, ‘উন্নত দেশগুলো যদি এসব টিকা না চায়, তবে আমরাও এসব টিকা চাই না।’
ঢাকা/শাহেদ