ক্ষোভ বাড়ছে লকডাউনে থাকা সাংহাইয়ের বাসিন্দাদের
করোনার কারণে কঠোর লকডাউনে থাকা সাংহাইয়ের অনেক বাসিন্দা খাদ্য সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবায় ঘাটতির অভিযোগ করেছেন। সংক্রমণের আশঙ্কায় অনেক অভিভাবকের কাছ থেকে জোর করে তাদের করোনায় আক্রান্ত সন্তানদের জোর করে পৃথক করে রাখছে কর্তৃপক্ষ। এসব ঘটনায় চীনের বৃহত্তম এই নগরীটির লাখ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
সম্প্রতি সাংহাইয়ে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। গত সপ্তাহ পর্যন্ত শহরটিতে দৈনিক আক্রান্তের গড় ছিল ১৩ হাজার। প্রথমে নগরীর দুই অংশে পৃথক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। চলতি সপ্তাহে পৃথক নয়, বরং পুরো নগরীতে একসঙ্গে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। বৃহস্পতিবার নগরীতে প্রায় ২০ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সরকারের কঠোর লকডাউনের অর্থ হচ্ছে, অধিকাংশ লোককে খাবার ও পানীয়ের জন্য অনলাইনে অর্ডার করতে হবে এবং শাকসবজি, মাংস ও ডিমের সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে। কিন্তু অতিরিক্ত মেয়াদে লকডাউনের কারণে ডেলিভারি পরিষেবা, খুচরা দোকানের ওয়েবসাইট এবং সরকারী সরবরাহের বিতরণ ব্যবস্থার ওপর ব্যাপক চাপ ফেলেছে। অনেক ডেলিভারি কর্মীও লকডাউন এলাকায় বাস করছেন, যার ফলে ডেলিভারি ক্ষমতা সামগ্রিকভাবে কমে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, তারা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অপর্যাপ্ত ডেলিভারি ক্ষমতার সমস্যা সমাধান করুন।’
অন্য একজন লিখেছেন, ‘আমার জীবনে প্রথমবার অনাহারে থেকেছি।’
শহরের কর্মকর্তারা বুধবার খাদ্য সরবরাহ নিয়ে সংকটের কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, সাংহাইতে চাল, নুডুলস, শস্য, তেল ও মাংসের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে তবে সেগুলি বিতরণে দেরি হয়েছে।
সাংহাই মিউনিসিপ্যাল কমিশন অব কমার্সের উপ-পরিচালক লিউ মিন বলেছেন, ‘এটা সত্য যে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিশ্চিত করতে কিছু অসুবিধা রয়েছে।’
বৃহস্পতিবার, সাংহাইয়ের উপ-মেয়র জানিয়েছেন, কিছু পাইকারি বাজার ও খাবারের দোকান পুনরায় খোলার চেষ্টা করা হবে এবং আরও বেশি ডেলিভারি কর্মীকে লকডাউন এলাকার বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
ঢাকা/শাহেদ