মহামারিকে ঘিরে জেগে উঠেছিল ‘মুনাফাখোরী ও জাতীয়তাবাদ’
করোনাভাইরাস মহামারির সময় যেভাবে ‘মুনাফাখোরী ও জাতীয়তাবাদ’ মানবতাকে গ্রাস করে নিয়েছিল তা যেন আর কখনও না ঘটে সেই আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি। নোবেল বিজয়ী জোসেফ স্টিগলিটজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও মোজাম্বিকের প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি গ্রাসা মাচেল এবং জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি-মুনসহ দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এক খোলা চিঠিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার প্রকাশিত এই চিঠিতে বর্তমান ও প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী, নোবেল বিজয়ী, বিশ্বাসী নেতা, সুশীল সমাজের প্রধান এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, কোভিড-১৯ এর টিকা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা জনগণের টাকা দিয়েই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলি ‘অতি মুনাফার জন্য’ জনগণকে শোষণ করেছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে টিকা, পরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে কোম্পানিগুলো ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে নিজেদের ‘পকেট ভারী করেছে।’
এই বৈষম্যের কারণে বিশ্বব্যাপী ১৩ লাখ মানুষের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হয়েছে। কোভিড টিকা বাজারে আসার প্রথম বছরে প্রতি ২৪ সেকেন্ডে ২৪ জন মানুষ মারা গেছে। ‘যে জীবনগুলো রক্ষা করা হয়নি তা বিশ্বের বিবেকের ওপর একটি দাগ।’
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রতিষ্ঠিত মহামারি বিষয়ক প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার জন্য গঠিত স্বাধীন প্যানেলের সহ-সভাপতি হেলেন ক্লার্ক বলেছেন, যদিও জনসাধারণের অর্থায়নে বিজ্ঞান কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সাফল্যে অবদান রেখেছে, তারা বিশ্বব্যাপী সাধারণ পণ্য হিসাবে বিবেচিত হয় না। ‘বরং, জাতীয়তাবাদ ও ভ্যাকসিনকে ঘিরে মুনাফাবৃত্তির ফলে একটি বিপর্যয়কর নৈতিক ও জনস্বাস্থ্য ব্যর্থতা দেখা দিয়েছে যা, সবার ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্যতা অস্বীকার করেছে।’
ঢাকা/শাহেদ