দাবানলের কারণে কানাডায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার বাসিন্দাকে
![দাবানলের কারণে কানাডায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার বাসিন্দাকে দাবানলের কারণে কানাডায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার বাসিন্দাকে](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2023August/23-2308181139.jpg)
কানাডার উত্তরের শহর ইয়েলোনাইফের বাইরে দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছে অগ্নিনির্বাপন বাহিনীর সদস্যরা। নগরীর ২০ হাজার বাসিন্দাকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুন ধীরে ধীরে এগুচ্ছে। এটি এখন শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে। বৃষ্টি না হলে শনিবারের মধ্যে এটি শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
আঞ্চলিক ফায়ার সার্ভিস ফেসবুকে একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আগামী দিন খুব কঠিন- শুক্রবার ও শনিবার উত্তর-পশ্চিম থেকে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম বাতাস আগুনকে ইয়েলোনাইফের দিকে ঠেলে দেবে।’
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশ চলতি বছর অস্বাভাবিকভাবে তীব্র দাবানলের শিকার হয়েছে। কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের চরম আগুনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে সতর্ক করেছেন।
ওয়াইল্ড ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক ক্লিফ চ্যাপম্যান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগুনের হিসাবে এই আবহাওয়া পরিস্থিতি গ্রীষ্মের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি দাবানল উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে এবং আমাদের যন্ত্রপাতি ও সম্পদ উত্তর থেকে দক্ষিণে চ্যালেঞ্জিং হবে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনকে (সিবিসি) বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার লোকজনকে স্থানান্তরের বিষয়টি নিবিঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং স্থলপথ বিচ্ছিন্ন হলে বাসিন্দাদের দ্রুত বিমানে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
চলতি বছর কানাডার সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল মৌসুম চলছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ২৬৫টি সহ সারা দেশে এক হাজারেরও বেশি দাবানল জ্বলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন দাবানল সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
আরো পড়ুন