ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

প্রোগ্রামিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানবপাচার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৬, ৩০ আগস্ট ২০২৩  
প্রোগ্রামিংয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানবপাচার

অনলাইন স্ক্যামিং অপারেশনের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কয়েক লাখ মানুষকে পাচার করেছে অপরাধী চক্র। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার অপরাধের শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতি বছর বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে অপরাধী চক্র। এই ব্যক্তিরা অপরাধী চক্রের হুমকি, নির্যাতন এবং কখনও কখনও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

জাতিসংঘের অনুমান, প্রায় এক লাখ ২০ হাজার ভুক্তভোগী মিয়ানমারে, এক লাখ কম্বোডিয়ায় এবং আরও কয়েক হাজার মানুষ লাওস, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। এই মানুষদের অনেকেই দক্ষ এবং একাধিক ভাষায় কথা বলকেত সক্ষম। প্রোগ্রামিংয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশে পা রাখার পরপরই তাদের পাসপোর্ট ও ফোন জব্দ  করে ফেলে পাচারকারীরা।

মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, যে দেশগুলো স্ক্যামিং কার্যক্রম দমনের চেষ্টা করছে তাদের মনে রাখা উচিত যে তাদের দেশে কর্মরত মানুষগুলো অপরাধী নয় বরং অপরাধীদের শিকার, যারা ‘অপরাধ করতে বাধ্য হওয়ার সময় অমানবিক নির্যাতন সহ্য করে।’

প্রতিবেদনের লেখক এবং জাতিসংঘের অভিবাসন ও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মানবাধিকার বিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা  পিয়া ওবেরয় বলেছেন, দুর্নীতি এই অপারেশনগুলোকে বিকাশের সুযোগ দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এটি এতোটাই অবিশ্বাস্যভাবে লাভজনক যে একে সামগ্রিকভাবে মোকাবেলা করার জন্য খুব কম রাজনৈতিক ইচ্ছা আছে। আমরা সত্যিই এর ধীরগতির কোন লক্ষণ দেখি না - আইন প্রয়োগকারীর কিছু চাপ থাকলে অপরাধী চক্র তাদের কর্মকাণ্ড অন্যত্র সরিয়ে নেয় স্রেফ। কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট উপায়ে তাদের রক্ষা করছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচারের এই ঘটনায় কোভিড মহামারির পর থেকে বেড়েছে। মহামারির সময় ক্যাসিনোগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের পরিচালনাকারী অপরাধী চক্র ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতি ও অবৈধ জুয়া খেলার মতো কম নিয়ন্ত্রিত স্থানে চলে গেছে।

এতে বলা হয়েছে, ভিক্টিমদের অধিকাংশই অভিবাসী। তারা মহামারির সময় চাকরি হারিয়েছিলেন এবং লকডাউনের কারণে চলাফেরা করতে পারতেন না। এদের অনেকেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হলেও দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং ল্যাটিন আমেরিকার নাগরিকরাও এই স্ক্যামিংয়ের শিকার ছিলেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, মিয়ানমার এবং লাওসের সীমান্ত স্ক্যাম অপারেশন, অর্থপাচার এবং মাদক উৎপাদনসহ আন্তর্জাতিক অপরাধের কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়