ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘ভারতে কী ঘটছে বাইডেন-ম্যাক্রনরা জানেন, কিন্তু কিছু বলবেন না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৯:২৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
‘ভারতে কী ঘটছে বাইডেন-ম্যাক্রনরা জানেন, কিন্তু কিছু বলবেন না’

নয়া দিল্লিতে শুরু হতে যাওয়া জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সমালোচনা করে ভারতীয় লেখিকা অরুন্ধতী রায় বলেছেন, বাইডেন-ম্যাক্রনরা জানেন ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সঙ্গে কী ঘটছে। কিন্তু তারা মুখ খুলবেন না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেছেন। শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।

সংখ্যালঘুদের সঙ্গে শাসক দল যা করছে তা বন্ধে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর জন্য জি-২০ প্ল্যাটফর্মটি জোটের নেতারা ব্যবহার করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে অরুন্ধতী রায় জানান, বিশ্বনেতাদের কেউ এই কাজটি করবেন না।

তিনি বলেন, ‘‘আমার এমন কোনো প্রত্যাশা নেই। তবে আমার কাছে মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যদি আমার মতো দিল্লিতে থাকতেন তাহলে জি-২০ এর জন্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে সেসব প্রচার, ব্যানার দেখে আপনি যদি কল্পনা করেন আয়োজনটি ভারত সরকারের নয় বরং বিজেপির তাহলে আপনি ক্ষমার যোগ্য। প্রতিটি ব্যানারে একটি করে বিশাল পদ্ম আঁকা রয়েছে, যা একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক- মোদির বিজেপির।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতে যা ঘটেছে তা এতই বিপজ্জনক, এতটাই নির্লজ্জ যে, দেশ, জাতি, সরকার এবং এর প্রতিষ্ঠানগুলো সবই ক্ষমতাসীন দল - একটি রাজনৈতিক দলের সাথে মিশে গেছে। আর সেই ক্ষমতাসীন দলটি মোদির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। আসলে, এখন শাসক দল নয়, শুধু একজন শাসক আছে। তাই মনে হচ্ছে মোদি জি-২০ আয়োজন করছেন।’’

পশ্চিমা নেতাদের সমালোচনা করে অরুন্ধতী রায় বলেন, ‘‘বাইডেন, ম্যাক্রন- যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা জানেন এখানে কী ঘটছে। তারা জানেন যে, মুসলমানদের গণহত্যা করা হয়েছে, যে মুসলমানরা প্রতিবাদ করেছে তাদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যার অর্থ হল সব সরকারি প্রতিষ্ঠান - আদালত, ম্যাজিস্ট্রেট, প্রেস - এতে জড়িত। তারা জানে যে কিছু শহরে মুসলমানদের দরজায় এক্স চিহ্ন রয়েছে এবং তাদের চলে যেতে বলা হচ্ছে। তারা জানে যে মুসলমানদের অপদস্থ করা হয়েছে। এবং এখন যে লোকেরা প্রকৃতপক্ষে হামলা ও মুসলমানদের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত তারা এই অপদস্থ করার মাধ্যমে তথাকথিত ধর্মীয় মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে। তারা জানে যে, তরবারি নিয়ে নজরদারকারীরা আছে, ধ্বংসের ডাক দিচ্ছে, মুসলিম নারীদের গণধর্ষণের ডাক দিচ্ছে। তারা এই সব জানে, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না কারণ কিছু পশ্চিমা দেশের মতে সবসময়ই, ‘গণতন্ত্র আমাদের জন্য ’ এবং  ‘স্বৈরাচার বা আমাদের অশ্বেতাঙ্গ বন্ধুদের জন্য অন্য কিছু’ এর মতো। এটা কোন ব্যাপার না।’’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়