ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

‘এলিয়েনের’ দেহ নাকি স্ট্যান্টবাজি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  
‘এলিয়েনের’ দেহ নাকি স্ট্যান্টবাজি?

মেক্সিকোর সাংবাদিক ও স্বঘোষিত ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মাউসানের কাছে পার্লামেন্টে হাজির করা ‘এলিয়েনের’ দুটি দেহাবশেষ  মানব জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। তবে কিন্তু অনেক বিজ্ঞানীর কাছে প্রসারিত মাথা এবং প্রতিটি হাতে তিনটি আঙ্গুল থাকা দেহাবশেষ দুটি অপরাধমূলক স্ট্যান্টবাজি।

জেইমি মাউসান গত সপ্তাহে মেক্সিকোর কংগ্রেসে আইনপ্রণেতাদের সামনে দুটি ছোট ‘দেহাবশেষ’ উপস্থাপন করেন। মমি করা এই দেহাবশেষের প্রত্যেক হাতে তিনটি করে আঙুল রয়েছে এবং এর মাথা লম্বাটে। জেইমির দাবি, দেহাবশেষগুলো ২০১৭ সালে পেরুতে পাওয়া গিয়েছিল এবং পৃথিবীর কোনও প্রাণির সঙ্গে তাদের মিল নেই। এর আগেও একই ধরনের দাবি করেছিলেন মাউসান। তবে প্রতিবার তিনি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছেন। মমি দুটির ঘটনায় দেশের কংগ্রেসের শুনানি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মহলে কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

পেরুর জৈব-নৃতত্ত্ববিদ এলসা টোমাস্টো-ক্যাগিগাও এ ঘটনায় হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, এই ধরনের দাবিগুলো এখনও প্রচার করা হচ্ছে, এর আগেও যা প্রতারণা বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আগে যা বলেছিলাম তা এখনও হাজির আছে, তারা বরাবরের মতো পুনঃব্যবহৃত ধারণা উপস্থাপন করছে এবং যদি এমন লোক থাকে যারা এটি বিশ্বাস করে তাহলে আমরা কী করতে পারি? এটি এতটাই বিকৃত এবং এতটাই সহজ যে, এর সঙ্গে যোগ করার আর কিছুই নেই।’

মেক্সিকো সরকার কিংবা জেইমি মাউসান এখনও তথাকথিত ‘এলিয়েনের’ দেহাবশেষ এখনও বিজ্ঞানীদের সামনে হাজির করেননি।

এ বিষয়ে  প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বিভাগের প্রাক্তন প্রধান এবং মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ইউএফও বিষয়ক চেয়ারম্যান ডেভিড স্পারগেল বলেছেন, এই জাতীয় নমুনাগুলো পরীক্ষার জন্য বিশ্বের বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের কাছে হাজির করা উচিত।

মাউসান তার দাবির পক্ষে বেশ কিছু প্রমাণ হাজির করেছেন। এগুলোর মধ্যে কার্বন ডেটিং এবং ডিএনএ পরীক্ষার ফলও রয়েছে।

তবে মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোনমি-এর বিজ্ঞানী জুলিয়েটা ফিয়েরো জানিয়েছেন, এই দেহাবশেষ দুটি কোনো রহস্যপূর্ণ নয়। দেহাবশেষ দুটিতে কার্বন-১৪ এর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে নমুনাগুলি বিভিন্ন সময়ে মারা যাওয়া বিভিন্ন মমির মস্তিষ্ক এবং ত্বকের টিস্যুর সাথে সম্পর্কিত। এগুলো আদতে পৃথিবীর বাইরের কোনো প্রাণির দেহ নয়।

ঢাকা/শাহেদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়