কাঠের নৌকায় সাগর পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ৪০০ রোহিঙ্গা
কাঠের নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়া পৌঁছেছেন প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা। আজ রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে আচেহ প্রদেশের উপকূলে পৌঁছান তারা। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) তথ্যমতে, নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জন রোহিঙ্গা ইন্দোনেশিয়ায় গেছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, প্রতি বছর নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে যখন সাগর শান্ত থাকে, তখন মিয়ানমারের নির্যাতিত সংখ্যালঘু মুসলিমরা কাঠের নৌকায় করে প্রতিবেশী থাইল্যান্ড এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের আচেহ শহরের জেলে সম্প্রদায়ের নেতা মিফতাহ কাট আদে রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের সর্বশেষ দলটি দুটি নৌকায় চেপে রোববার ভোরে পিডি এবং আচেহ বেসার সৈকতে এসে পৌঁছায়।
প্রতিটি নৌকায় আনুমানিক ২০০ রোহিঙ্গা ছিল বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সেনা কর্মকর্তা অ্যান্ডি সুসান্তো বলেছেন, প্রায় ১৮০ জন রোহিঙ্গা পিডিতে ভোর ৪টায় এসে পৌঁছায়। তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আরেকটি রোহিঙ্গা নৌকা সম্পর্কে সামরিক বাহিনী অবগত রয়েছে। তবে ওই নৌকায় চেপে কতজন এসেছে, সে সম্পর্কে তাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য নেই।
এর আগে শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শরণার্থী বেড়ে যাওয়ার পেছনে মানব পাচারের যোগসূত্র থাকতে পারে। এ সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
ইন্দোনেশিয়া জাতিসংঘের ১৯৫১ সালের শরণার্থী চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। কিন্তু উপকূলে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে দেশটি।
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশটি থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। ওই অভিযানে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণ, হত্যা এবং হাজার হাজার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
/ফিরোজ/