ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

কাতারে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৩ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৪:০১, ৩ জানুয়ারি ২০২৪
কাতারে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাতারের একটি ঘাঁটিতে তার সামরিক উপস্থিতি আরও ১০ বছর বাড়ানোর জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। বিষয়টির সাথে পরিচিত একটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলেছে, পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটি গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, সম্ভাব্য ওই ঘাঁটি হলো আল উদেইদ বিমান ঘাঁটি। যা দোহার দক্ষিণ-পশ্চিমে মরুভূমিতে অবস্থিত। মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক স্থাপনা এটি।

এ ব্যাপারে মন্তব্যর জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ রয়টার্সের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।

উপসাগরীয় ছোট দেশ কাতার। তবে দেশটি বিশ্বরাজনীতিতে বেশ আলোচিত। বিশ্বরাজনীতিতে কাতারের বড় ভূমিকা এখন সফল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজা যুদ্ধে হামাস ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মধ্যস্থতামূলক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাতার। দেশটির মধ্যস্থতায় গত বছরের নভেম্বরে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে যায় হামাস ও ইসরায়েল। এ সময় হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৭ অক্টোবর থেকে নিয়মিত কাতারের আমীরের সাথে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি ও গাজায় সহায়তা বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলেছেন। 

তবে কাতারে হামাসের উপস্থিতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের কেউ কেউ দেশটির সমালোচনা করে আসছেন। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন আইন প্রণেতাদের একটি দল বাইডেনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে কাতারসহ হামাসকে সমর্থনকারী দেশগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে বলেছিলেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হোন। সেসময় আরও অনেককে আটক করে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে হামাসের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ২২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।.

কাতার যুক্তরাষ্ট্রের ‘নন-ন্যাটো মিত্র’ দেশ হিসেবে স্বীকৃত। ন্যাটোর বাইরে যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সুসম্পর্ক রয়েছে, সেই সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই স্বীকৃতি দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়