ঢাকা     বুধবার   ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১০ ১৪৩১

আবারও কমলো চীনের জনসংখ্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১০, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৩:১৬, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
আবারও কমলো চীনের জনসংখ্যা

টানা দ্বিতীয় বছরের মতো কমলো চীনের জনসংখ্যা। ২০২৩ সালে দেশটির জনসংখ্যা ২০ লাখেরও বেশি কমেছে। জন্মহার কম হওয়া ও করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কারণে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কমছে দেশটিতে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, ২০২৩ সালের শেষে চীনের জনসংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার। ২০২২ সালে যে জনসংখ্যা ছিল, তার তুলনায় ২৩ সালের জনসংখ্যা ২০ লাখ ৮০ হাজার কম। এর আগে, ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছিল ৮ লাখ ৫০ হাজারের মতো।

জনসংখ্যা কমার পাশিপাশি জন্মহারও প্রতি হাজারে কমে ৬ দশমিক ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এই সংখ্যাটি ১৯৪৯ সালের পর সর্বনিম্ন। ২০২৩ সালে চীনে ৯০ লাখ ২০ হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এর আগের বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৯৫ লাখ ৬০ হাজার।

শেষবার চীনে রেকর্ড জনসংখ্যা কমেছিল ১৯৬০ সালে। ওই সময় দেশটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছিল। তবে এরপর দেশটিতে জনসংখ্যা বাড়া শুরু করে। কিন্তু অধিক জনসংখ্যার ভয়ে ১৯৮০ সালে চীন বিতর্কিত ‘এক শিশু’ নীতি গ্রহণ করে। যার কারণে জনসংখ্যা অনেক বেশি হ্রাস পায়। ভুল উপলব্ধি করতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি পরিহার করে দেশটি। 

২০২১ সাল থেকে চীন দম্পতিদের তিন সন্তান নিতে উৎসাহিত করতে থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে দিন দিন জনসংখ্যা কমেই চলেছে। গত বছর ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা হারায় চীন।

বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, জন্মহার কমের বিষয়টি চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কোণঠাসা করে দিতে পারে। 

তবে চীন দাবি করেছে, তারা আর্থিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির টার্গেট পূরণ করতে পেরেছে। দেশটির পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর- এই তিন মাসে জিডিপি বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে পাঁচ দশমিক দুই শতাংশে। করোনার কড়াকড়ি তুলে নেওয়ার পর চীনের আর্থিক বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ শতাংশ।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়