সুদানে জাতিগত সহিংসতায় নিহত ১৫ হাজার মানুষ
আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং মিত্র আরব মিলিশিয়াদের জাতিগত সহিংসতায় গত বছর সুদানের পশ্চিম দারফুর অঞ্চলের একটি শহরে ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের স্বাধীন নিষেধাজ্ঞার পর্যবেক্ষকরা গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এল জেনেইনায় নিহতের সংখ্যা জানতে পেরেছেন। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে জাতিসংঘের অনুমান এই সংখ্যা আরও বেশি।
পর্যকেক্ষকরা জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত উত্তর চাদের আমদজারাসের মাধ্যমে ‘প্রতি সপ্তাহে বেশ কয়েকবার’ আরএসএফকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে। সুদানের একজন শীর্ষ জেনারেল নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আরএসএফের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।
পর্যবেক্ষকদের কাছে একটি চিঠিতে, সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছে, ১২২টি ফ্লাইটে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসা সুদানিদের সাহায্য করার জন্য আমদজারাসে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ সুদান ছেড়ে আমদজারাস থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দক্ষিণে পূর্ব চাদে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে এল জেনিনায় ‘তীব্র সহিংস’ ঘটনা ঘটেছিল। সংঘাতে আরএসএফ এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধে জাতিগত আফ্রিকান মাসালিত উপজাতিকে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন পর্যবেক্ষকরা। তাদের মতে, এটি ‘যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হতে পারে।’
আরএসএফ এর আগে অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, তাদের সেনাদের কেউ জড়িত থাকলে বিচারের মুখোমুখি হবে।
ঢাকা/শাহেদ
