ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ৯ ১৪৩১

ভয়াবহ নির্যাতনের বিবরণ দিচ্ছেন গাজার মানবাধিকার কর্মী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৪  
ভয়াবহ নির্যাতনের বিবরণ দিচ্ছেন গাজার মানবাধিকার কর্মী

গাজাভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী আয়মান লুব্বাদ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তার স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে দেখেননি। এক মাস আগে তাকে সব পোশাক খুলে স্রেফ অন্তর্বাস পরিয়ে তার বাড়ির বাইরে থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে অন্যান্য ফিলিস্তিনি পুরুষদের সঙ্গে একটি গাড়িতে উঠিয়ে একটি আটককেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নিপীড়ন করা হয়।

আয়মান লুব্বাদ জানান, তাকে নির্যাতন ও অপমান করা হয়েছিল। তিনি বন্দি অবস্থায় ফিলিস্তিনিদের উপর সাম্প্রতিক ইসরায়েলি নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছেন। ইসরায়েলি পত্রিকা হারেৎজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নির্যাতনে কমপক্ষে ছয় ফিলিস্তিনি মারা গেছে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে গুরুতর জখমের তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে আটক গাজার শত শত বাসিন্দাকে বৈদ্যুতিক শক, সিগারেট ও লাইটার দিয়ে পোড়ানো, যন্ত্রদায়ক অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা এবং ঘুম, খাবার ও টয়লেট সুবিধার বঞ্চনাসহ নির্যাতনের নানা পদ্ধতির সম্মুখীন হয়েছে।

আরো পড়ুন:

লুব্বাদ বলেন, আটকের পর ‘ইসরায়েলি সেনারা অপমানজনভাবে আমাদের ছবি তুলেছিল এবং আটক কয়েক জন ছেলেক নাচতে বাধ্য করেছিল। আমরা রাস্তায় বসে থাকাকালে তারা আমাদের সামনে মুকায়েদ, মাহদি, কাহলোট এবং সোরুর পরিবারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’

দুই ঘণ্টা পর লুব্বাদকে গাজার উত্তরে জিকিম কিবুতজের কাছে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ‘হাতকড়া পরিয়ে ও চোখ বেঁধে’ একটি সেনা শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়। শিবিরে ভোর ৫টা পর্যন্ত বন্দিদের চোখ বাঁধা অবস্থায় হাঁটু ভাজ করে বসতে বাধ্য করা হয়। 

লুব্বাদ বলেন, ‘অবস্থান পরিবর্তন করার বা চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করলেই প্রায় তিন ঘন্টা মাথার উপরে হাত তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এবং মারধরসহ বিভিন্ন শাস্তি দেওয়া হতো।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়