ইয়েমেনে ফের হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সামরিক বাহিনী ইয়েমেনে আবারও হামলা চালিয়েছে। এবারের হামলায় ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীটির দুটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে দেওয়ার দাবি করেছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করে মার্কিন বাহিনী। এগুলোকে লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন সামরিক জাহাজের জন্য আসন্ন হুমকি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। পরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে আত্মরক্ষার্থে এসব ক্ষেপণাস্ত্রে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়।

এর আগে গত সোমবার ২২টি দেশের সহযোগিতায় মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী যৌথভাবে হুতিদের ৮টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছিল। যা চলতি মাসে হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যর দ্বিতীয় যৌথ অভিযান। 

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে গত বছরের নভেম্বর থেকে ধরে ইরান-সমর্থিত হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে যুক্ত বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে অব্যাহতভাবে আক্রমণ চালিয়ে আসছে। এতে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। এর প্রতিক্রিয়ায় চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে মার্কিন হামলার ঘটনাটি ইয়েমেনে হুতিদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নবম হামলা। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা এখন পর্যন্ত হুতিদের ২৫টিরও বেশি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ-স্থাপনার পাশাপাশি ২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস বা অবনমিত করেছে। 

পেন্টাগন জানিয়েছে, হুতিদের ড্রোন, উপকূলীয় রাডার ও বিমান নজরদারি ক্ষমতার পাশাপাশি অস্ত্রের গুদামে আঘাত হেনেছে মার্কিন বিমান।

পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘হুতিরা বাণিজ্যিক ও সামরিক জাহাজের ওপর আক্রমণ চালানোর জন্য যেসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়ন করছে বা ব্যবহার করছে, সেগুলো শনাক্ত করে ধ্বংস করার দিকে আমরা গভীর মনোযোগ দিয়েছি। আর এটিই আমাদের ফোকাস থাকবে।’ 

মার্কিন উর্ধ্বতন এই সামরিক কমকর্তার মতে, লোহিত সাগরে ১৮ জানুয়ারি সর্বশেষ হুতি হামলা হয়েছিল। যা নির্দেশ করে, মার্কিন অভিযানের ফলে হুতিদের জটিল আক্রমণের ক্ষমতা খর্ব হয়েছে।