ঢাকা     শনিবার   ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১৩ ১৪৩১

পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিক্রি আটকে দিল নির্বাচন কমিশন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:৫৪, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা বিক্রি আটকে দিল নির্বাচন কমিশন

অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। তার আগেই লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকার। 

তবে পিআইএ-কে বেসরকারিকারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রচেষ্টাকে শেষ মূহূর্তে এসে থামিয়ে দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তার ভূমিকা ও সীমাবদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও পিআইএ চুক্তি সংক্রান্ত সব প্রাসঙ্গিক নথি চেয়েছে। 

ডন জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে পিআইএ বেসরকারিকরণের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবাদমাধ্যমটির অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বেসরকারিকরণ বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ হাসান এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, সরকার বিমান সংস্থাটি বিক্রি করার কাছাকাছি রয়েছে। 

ফাওয়াদ হাসান জানিয়েছিলেন, পিআইএ বিক্রির বিষয়টি নিশ্চিত করা সংক্রান্ত ৯৮ শতাংশই কাজ হয়ে গেছে। বিষয়টি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়ার পর এক্সেল শিটে হিসাব-কিতাব করে বাকি ২ শতাংশও শেষ করা হবে।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই নিয়মিত লোকসানে পরিচালিত হচ্ছে পিআইএ। গত বছরের জুনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তির শর্তের আওতায় তৎকালীন সরকার পিআইএ-সহ লোকসানে থাকা সকল রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশোধন বা বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। আইএমএফ চুক্তি স্বাক্ষরের কয়েক সপ্তাহ পর সরকার পিআইএ-কে বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেয়।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য গত বছরের আগস্ট মাসে দেশটির দায়িত্বে আসে তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন। বিদায়ী সংসদ কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আইএমএফের সঙ্গে ঋণ চুক্তি অনুযায়ী বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়