ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

দুই সপ্তাহেও নাভালনির মরদেহ পাবে না পরিবার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:০৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দুই সপ্তাহেও নাভালনির মরদেহ পাবে না পরিবার

রাশিয়ার কারাগারে মারা যাওয়া দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনির মরদেহ দুই সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে না বলে জানানো হয়েছে তার পরিবারকে। নাভালনির একজন প্রতিনিধি জানান, তার মাকে জানানো হয়েছে যে রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মরদেহ দুই সপ্তাহ রাখা হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নাভালনির মরদেহটি কোথায় রাখা হয়েছে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ। সেটি জানতে চাওয়ার সকল চেষ্টাই ব্যহত করে দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে মরদেহ লুকানোর অভিযোগ করেছেন নাভালনির স্ত্রী। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া লাভালনায়া অঙ্গীকার করেছেন যে তিনি তার তার স্বামীর ‘মুক্ত রাশিয়া’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন। এই ভিডিও বার্তায় স্বামীর মৃত্যুর জন্য সরাসরি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছেন তিনি।

গত এক দশক ধরে রুশ বিরোধী দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নাভালনি সাইবেরিয়া অঞ্চলের একটি কারাগারে ১৯ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। গত শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) তার মৃত্যু হয় বলে জানায় দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ। 

রুশ কর্তৃপক্ষের দাবি, কারাগারে হাঁটাহাঁটি করার সময় হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ে যান নাভালনি, এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার।

সোমবার ক্রেমলিন জানায়, নাভালনির মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এখন পর্যন্ত তদন্ত থেকে কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি।

পরে নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ বলেন, তদন্তকারীরা নাভালনির মা লিউডমিলা নাভালনায়াকে বলেছেন যে যেহেতু রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, তাই তারা আগামী দুই সপ্তাহের মাঝে মরদেহ হস্তান্তর করতে পারবে না।

কিরা ইয়ারমিশ আরও বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, এটা হত্যাকাণ্ড। তারা এখন হত্যার প্রমাণ লোপাট করতে চাইছে। যে কারণে তারা পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করছে না। অথচ, রাশিয়ার আইনানুযায়ী কোনো কারাবন্দি মারা গেলে দুই দিনের মধ্যে তার মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করতে হয়।’

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়