ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

খাদ্য নেই, ঘোড়া জবাই করছে গাজার বাসিন্দারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:০৭, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
খাদ্য নেই, ঘোড়া জবাই করছে গাজার বাসিন্দারা

উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আবু জিবরিল তার পরিবারের খাদ্যের জন্য এতটাই মরিয়া ছিলেন যে তিনি তার দুটি ঘোড়া জবাই করেছিলেন।

তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য ঘোড়া জবাই করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। ক্ষুধা আমাদের হত্যা করছে।’

যুদ্ধের আগে জাবালিয়া ছিল ফিলিস্তিন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির। ১৯৪৮ সালে ১ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকার ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে দূষিত পানি, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অতিরিক্ত ভীড় ইতিমধ্যেই একটি সমস্যা ছিল। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের হামলার পর ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আরও হাজার হাজার মানুষ জাবালিয়াতে আশ্রয় নিয়েছে। সংঘর্ষ শুরু হলে ৬০ বছর বয়সী জিবরিল বেইট হানুন থেকে পালিয়ে যান। তারা আশ্রয় নেন জাবালিয়াতে। 

শিবিরে এখন খাদ্য ফুরিয়ে আসছে। কারণ সাহায্য সংস্থাগুলো বোমা হামলার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারছে না।

শুক্রবার হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাবালিয়া থেকে সাত কিলোমিটার (মাত্র চার মাইলেরও বেশি) দূরে গাজা শহরের হাসপাতালে অপুষ্টির কারণে  দুই মাস বয়সী শিশু মারা গেছে। 

শনিবার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধে কমপক্ষে ২৯ হাজার ৬০৬ জন নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, খাদ্যের উদ্বেগজনক অভাব, ক্রমবর্ধমান অপুষ্টি এবং রোগের কারণে গাজায় শিশু মৃত্যুর ‘বিস্ফোরণ’ হতে পারে। ১৯ ফেব্রুয়ারি দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজায় দুই বছরের কম বয়সী ছয় শিশুর মধ্যে একজন তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে।

বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে পঁচা ভুট্টা, পশুখাদ্য এবং এমনকি গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করেছে।

শিবিরের এক নারী বলেন, ‘কোনো খাবার নেই, গম নেই, পানি নেই। আমরা প্রতিবেশীদের কাছে অর্থের জন্য ভিক্ষা শুরু করেছি। আমাদের বাড়িতে একটি পয়সাও নেই। আমরা দরজায় কড়া নাড়ছি এবং কেউ আমাদের ভিক্ষা দিচ্ছে না।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়