ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদনে রেকর্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১১:৩৪, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদনে রেকর্ড

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০১৫-১৬ সালের শরণার্থী সংকটের পর আশ্রয় আবেদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে। গত মঙ্গলবার শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে নতুন এই রেকর্ডের তথ্য উঠে এসেছে। খবর আল জাজিরার।

ইইউএএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ইইউভুক্ত দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি। এই পরিসংখ্যানে ইউরোপের দোরগোড়ায় জেঁকে বসা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে ‘ইইউ’র ওপর তৈরি হওয়া ক্রমবর্ধমান চাপ এবং জাতীয়তাবাদী রাজনীতির হুমকিও প্রতিফলিত হয়েছে।  

ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আশ্রয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে জার্মানির জন্য। আবেদনে সবার শীর্ষে আছেন সিরীয় নাগরিকরা। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরেক দেশ আফগানিস্তান। হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপে আশ্রয়ের জন্য ফিলিস্তিনিদের আবেদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

২০২৩ সালে ইউরোপে আশ্রয় আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮১ হাজার সিরীয়, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৩৮ শতাংশ বেশি। আফগানিস্তান থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার। 

ইউরোপের দেশগুলোয় ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় আবেদনের সংখ্যা ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ রেকর্ডে পৌঁছেছে। ১১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি ইউরোপে আশ্রয় আবেদন করেছেন। ইইউএএ বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশিরভাগ দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কারণে তাদের সংখ্যা সঠিকভাবে নিবন্ধন করা কঠিন ছিল।

গত বছর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৪৪ লাখ ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার আক্রমণ থেকে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের ইইউ ব্লকে আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার দরকার হয় না।

গত মাসে ইইউর সীমান্ত সুরক্ষাবিষয়ক সংস্থা ফ্রন্টেক্সের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়, ২০১৬ সালের পর বর্তমানে অনিয়মিত সীমান্ত ক্রসিংয়ের সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়