ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

চীনের অনেক হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১৫, ২০ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১০:২৭, ২০ মার্চ ২০২৪
চীনের অনেক হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগ বন্ধ

চীনের বেশ কয়েকটি হাসপাতাল প্রসূতি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে সম্প্রতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ার কারণে হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।

দেশটির ডেইলি ইকোনমিক নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে পূর্ব ঝেজিয়াং এবং দক্ষিণ জিয়াংজি প্রদেশের উল্লেখ করা হয়। কারণ সম্প্রতি এখানকার বেশ কয়েকটি হাসপাতালের প্রসূতি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। 

জিয়াংজির গাঞ্জো শহরের ‘পিপলস হাসপাতাল’ গত ১১ মার্চ থেকে তাদের  প্রসূতি পরিষেবা বিভাগ বন্ধ করে দেয়। ঝেজিয়াং এর ‘জিয়াংশান হসপিটাল অব ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন’ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ করে দেয় তাদের প্রসূতি বিভাগ।

চীনে এমন সময়ে হাসপাতালগুলো থেকে প্রসূতি বিভাগ বন্ধের ঘোষণা আসছে যখন দেশটির নেতারা কম জনসংখ্যার কারণে সৃষ্ট সমস্যা সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন এবং জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা চালু করেছেন। জনসংখ্যাগত মন্দা চীনে নতুন সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে। বার্ধক্য ও সঙ্কুচিত জনসংখ্যার কারণে দেশটির জিডিপিও প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।

২০২৩ সালে টানা দ্বিতীয় বছর চীনের মোট জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। গত বছর দেশটিতে শিশু জন্মহারও রেকর্ড পরিমাণ কম ছিল। শিশু জন্ম কমে যাওয়ায় অনেক হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে সেবা নিতে কেউ আর আসছে না। 

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুসারে, দেশটিতে প্রসূতি হাসপাতালের সংখ্যা ২০২০ সালে ছিল ৮০৭টি। ২০২১ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে ৭৯৩টিতে।

চীন সরকার ২০১৬ সালে এক-সন্তান নীতি বাতিল করে পরিবারগুলোকে তিনটি পর্যন্ত সন্তান নেওয়ার অনুমতি দেয়। বেশ কিছু প্রদেশে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিশুদের জন্য নগদ ভর্তুকি প্রদান করে বলে জানা গেছে।

তবে চীনা নারীরা মনে করে যে, শিশুদের যত্ন এবং বড় করে তোলার খরচ এখন অনেক বেশি। যে কারণে অনেক নারী সন্তান গ্রহণ করতে চান না। অনেক তরুণী আবার বিয়ে করতেই আগ্রহী নন। কারণ, চীনের প্রথাগত সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদেরই সংসার এবং সন্তান যত্নের দায়িত্ব নিতে হয়। যে কারণে অনেক নারী নিজের ক্যারিয়ার ঠিকমত এগিয়ে নিতে পারেন না। কর্তৃপক্ষ জন্মহার বাড়ানোর জন্য প্রণোদনা এবং বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটি সম্প্রসারণ, সন্তান ধারণের জন্য আর্থিক ও কর সুবিধা এবং আবাসন ভর্তুকি।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়