ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

সুখী দেশ: তালিকার শীর্ষে ফের ফিনল্যান্ড, পেছাল বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১২, ২০ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১২:২৪, ২০ মার্চ ২০২৪
সুখী দেশ: তালিকার শীর্ষে ফের ফিনল্যান্ড, পেছাল বাংলাদেশ

আজ সোমবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। দিবসটির প্রতিষ্ঠাতা জাতিসংঘের উপদেষ্টা এবং শান্তি ও নিরাপত্তা অর্থনীতিবিদদের প্রতিনিধি জেম এলিয়েন। জেম ২০১১ সালে এই দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৮ জুন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক অধিবেশনে এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২০ মার্চ সারাবিশ্বে পালিত হয় সুখ দিবস।

প্রতি বছর এই দিনটিতে সুখী দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করে জাতিসংঘ। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪।’ তালিকায় ১৪৩টি দেশের মধ্যে টানা সপ্তমবারের মতো শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। অপরদিকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে ১৩৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৮। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ছিল তালিকার ৯৪ নম্বরে।

২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে দেখা গেছে, সুখী দেশের তালিকায় ফিনল্যান্ডের পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ড। চতুর্থ সুইডেন ও পঞ্চম ইসরায়েল। সেরা ১০টি সুখী দেশের মধ্যে এরপর রয়েছে নেদারল্যান্ডস (ষষ্ঠ), নরওয়ে (সপ্তম), লুক্সেমবার্গ (অষ্টম), সুইজারল্যান্ড (নবম) ও অস্ট্রেলিয়া (দশম)।

এশিয়ার দেশগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে কুয়েত (১৩)। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরব আমিরাত (২২), সৌদি আরব (২৮), সিঙ্গাপুর (৩০), তাইওয়ান (৩১), জাপান (৫১), দক্ষিণ কোরিয়া (৫২), ফিলিপাইন (৫৩), থাইল্যান্ড (৫৮), মালয়েশিয়া (৫৯), চীন (৬০) ও বাহরাইন (৬২)।

প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে তালিকায় স্থান পেয়েছে নেপাল (৯৩), পাকিস্তান (১০৮), ভারত (১২৬), মিয়ানমার (১১৮) ও শ্রীলঙ্কা (১২৮)।

এদিকে, এ তালিকায় এবারই প্রথম শীর্ষ ২০-এর মধ্যে নেই যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এই দেশগুলোর অবস্থান যথাক্রমে ২৩ ও ২৪। তালিকায় যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থান ১০৬। আর রাশিয়ার অবস্থান ৭২। ইসরায়েল ৫ম অবস্থানে থাকলেও ফিলিস্তিন আছে ১০৩তম অবস্থানে।

সুখী দেশের তালিকায় এবার সবচেয়ে নিচে রয়েছে আফগানিস্তানের নাম। আগের বছরও এই তালিকায় সবার নিচে ছিল আফগানিস্তান।

সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রতিবছর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যরাষ্ট্রের ওপর চালানো হয় এ জরিপ।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়