সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর রাজনৈতিক আক্রমণ বেড়েছে
সাংবাদিকদের আটক, স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর দমন-পীড়ন এবং ভুল তথ্যের ব্যাপক প্রচারসহ সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর রাজনৈতিক আক্রমণ ২০২৩ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রকাশিত বার্ষিক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাংবাদিকদের স্বাধীন ও মুক্তভাবে কাজ করার এবং প্রতিবেদন প্রকাশ করার ক্ষমতার উপর তৈরি করা সূচকে ১৮০ টি দেশকে স্থান দেওয়া হয়েছে।
আরএসএফ-এর সূচকে দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সামগ্রিক পতন এবং সাংবাদিক ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর রাজনৈতিক দমন-পীড়ন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরএসএফ-এর সম্পাদকমণ্ডলীর পরিচালক অ্যান বোকান্ডে বলেন, ‘আরএসএফ গণমাধ্যমের স্বায়ত্তশাসনের প্রতি সমর্থন ও সম্মানের উদ্বেগজনক পতন এবং রাষ্ট্র বা অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির চাপ বৃদ্ধি দেখেছে। রাষ্ট্র ও অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় ক্রমহ্রাসমান ভূমিকা পালন করছে। এই ক্ষমতাহীনতা কখনও কখনও আরও প্রতিকূল কর্মের সাথে হাত মেলায়, যা সাংবাদিকদের ভূমিকাকে ক্ষুণ্ন করে, এমনকি হয়রানি বা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার মাধ্যমে গণমাধ্যমকে যান্ত্রিক করে ফেলা হয়।’
আরএসএফ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শতাধিক ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২২ জন কর্মরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন। সুদানে সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে। দেশটিতে সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের ব্যাপারে স্বাধীন সংবাদ পরিবেশন রোধ করার জন্য ভয়াবহ প্রচেষ্টা চালানো হয়। সিরিয়ার সংবাদকর্মীদের অবস্থারও অবনতি হয়েছে। দেশটির যেসব সাংবাদিক পালিয়ে প্রতিবেশী জর্ডান, তুরস্ক ও লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানে থেকেও তাদের বহিষ্কারের হুমকি দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারাগার-ইসরায়েল, সৌদি আরব, সিরিয়া ও ইরানে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা ও আটক অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ