ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

নির্বাচনে কাশ্মিরে কেন প্রার্থী দেননি মোদি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ১১ মে ২০২৪  
নির্বাচনে কাশ্মিরে কেন প্রার্থী দেননি মোদি?

ভারত শাসিত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার চার বছরেরও বেশি সময় পরে, চলতি বছর সাধারণ নির্বাচনে রাজ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিরোধী নেতারা জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের ক্ষোভ এবং বিষয়টি বিজেপি স্বীকার করে নিচ্ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

কাশ্মির ও দিল্লির সম্পর্ক কয়েক দশক ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং এর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ গত তিন দশকে কাশ্মিরে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ দিয়েছে।

২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে। সংবিধানের এই অনুচ্ছেদ কাশ্মিরকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর লাদাখ এবং জম্মু ও কাশ্মিরকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাশ্মিরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ বন্ধে মোদি সরকার কাশ্মিরে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালায় এবং তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ কয়েকশ রাজনৈতিক নেতাকে কয়েক মাস কারাগারে বন্দি রাখে।

গত কয়েক বছরে স্থানীয় বিজেপি নেতারা কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পক্ষে কাশ্মিরে ব্যাপকভাবে কাজ করেছেন। তাই চলমান সাধারণ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী না দেওয়ার ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুর দুটি আসনে বিজেপির প্রার্থী আছে, কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকার তিনটি আসনে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি।

জম্মু ও কাশ্মিরে বিজেপির প্রধান মুখপাত্র দাবি করেছেন, নির্বাচন অগ্রাধিকার নয় এবং তাদের মূল লক্ষ্য হল ‘জনগণের হৃদয়’ জয় করা।

মুখপাত্র সুনিল শেঠ বলেন, ‘কাশ্মিরকে দেশের বাকি অংশের সাথে সম্পূর্ণরূপে একীভূত করতে আমাদের ৭৫ বছর লেগেছে এবং আমরা এমন একটি ধারণা (সৃষ্টি করতে) চাই না যে, আমরা কেবল আসন জেতার জন্য এই চর্চাটি করেছি।’

তবে সমালোচকরা বলছেন, দলের নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছে যে, এই অঞ্চলে বিজয় নিশ্চিত করা সহজ হবে না। তাই পরাজয়ের লজ্জা এড়াতে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুর আহমদ বাবা বলেন, যদিও ‘অর্জন’ অন্যান্য রাজ্যে বিক্রি হতে পারে, হিমালয় অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা এখানকার লোকদের জন্য ভাল হয়নি।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি) দলের নেতা ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করায় মানুষ খুশি হলে, বিজেপি লড়াই করতে দ্বিধা করত না। তবে তারা নিজেদের প্রকাশ করতে চায় না এবং তারা তাদের মুখ বাঁচাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়