ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কানাডায় শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় আরও এক ভারতীয় গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫০, ১২ মে ২০২৪   আপডেট: ১০:০১, ১২ মে ২০২৪
কানাডায় শিখ নেতা হত্যার ঘটনায় আরও এক ভারতীয় গ্রেপ্তার

শিখ নেতা ও কানাডার নাগরিক হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার ঘটনায় আরও একজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করেছে কানাডা পুলিশ। এই ঘটনায় এর আগে তিনজন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ফলে এই নিয়ে চতুর্থ ভারতীয় গ্রেপ্তার হলেন নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে।

রোববার (১২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা পুলিশ জানিয়েছে, নিজ্জরের খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার (১১ মে) আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম আমানদীপ সিং (২২)। তিনি ভারতীয় নাগরিক।

আমানদীপ অন্য একটি মামলায় কানাডা পুলিশের হেফাজতে ছিলেন। তার কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত চলাকালীনই নিজ্জর হত্যার সঙ্গে আমনদীপের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে কানাডা পুলিশ। তার পর ওই মামলায় তাকে নতুন করে গ্রেপ্তার করে কানাডা পুলিশের ইন্টিগ্রেটেড হোমিসাইড ইনভেস্টিগেশন টিম (আইএইচআইটি)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে খুনের ধারা যুক্ত করা হয়েছে।

আইএইচআইটি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আমানদীপের বিরুদ্ধে ‘ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার’ এবং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর আগে যাদের গ্রেপ্তার করা হয় তারা হলেন- করণপ্রীত সিং (২৮), কমলপ্রীত সিং (২২) এবং করণ ব্রার (২২)। 

উল্লেখ্য, পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণকারী হরদীপ সিং নিজ্জর কানাডায় প্রায় ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাস করছিলেন। ৪৫ বছর বয়সী এ শিখ ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন—এমন অভিযোগে ভারত সরকার তাকে ‘জঙ্গী’ তকমা দিয়েছিল। 

গত বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার ভ্যাঙ্কুভার থেকে ৩০ কিলোমিটার পূর্বে সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বারে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

ওই হত্যাকাণ্ডের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করে বলেন, এর পেছনে ভারত জড়িত থাকতে পারে। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে দেওয়া এক ভাষণে ট্রুডো বলেন, তার দেশের গোয়েন্দারা হরদীপ হত্যায় ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেয়েছেন। 

এ ঘটনাকে কানাডার সার্বভৌমত্বের জন্য তীব্র অবমাননাকর বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ট্রুডোর এমন অভিযোগের পর কানাডা ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন দেখা দেয়। হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করে নয়াদিল্লি।

/ফিরোজ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়