রাইসিকে উদ্ধারে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েও পায়নি ইরান
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ইরান। তবে ব্যবস্থাপনাগত কারণে সাড়া দিতে পারেনি ওয়াশিংটন।
সোমবার (২০ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
ম্যাথিউ মিলারের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরান সহায়তা চাওয়ার পরও লজিস্টিক্যাল কারণে সেই সহায়তা করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিস্তারিত কিছু বলেন।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো, তা বলতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।’
রাইসি ও তার সঙ্গীদের মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে মার্কিন প্রশাসন এটাও বলেছে, এটি একটি রেওয়াজমাফিক শোকবার্তা। যুক্তরাষ্ট্র রাইসির প্রতি কোনো রকম সমর্থন প্রকাশ করছে না। রাইসি সেই ব্যক্তি, যিনি বিচারক থাকাকালে গণহারে রাজবন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে কর্তৃপক্ষ নারীদের গণ–আন্দোলন কঠোরভাবে দমন করেছে।
/ফিরোজ/