রাফাহর কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
![রাফাহর কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক রাফাহর কেন্দ্রস্থলে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/tanks-2405281529.jpg)
গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহর কেন্দ্রস্থলে অবস্থান নিয়েছে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি ট্যাংক। গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শেষ আশ্রয়স্থল এই শহরটিতে তিন সপ্তাহ আগে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি ট্যাংক রাফাহর কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে বলেছেন, রাফাহর কেন্দ্রস্থল আল-আওদা মসজিদের কাছে ইসরায়েলি ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান দেখতে পেয়েছেন তারা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বাহিনী বলেছে, তাদের বাহিনী রাফাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। শহরটির কেন্দ্রে অগ্রসর হওয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি আইডিএফ।
গত রোববার (২৬ মে) রাফাহের তাল আস-সুলতানের একটি তাঁবুতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
ইসরায়েলের সহিংসতার লাগাম টেনে ধরার লক্ষ্যে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশ তিনটি বলেছে, এই পদক্ষেপ গাজায় চলমান যুদ্ধে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করবে বলে তারা প্রত্যাশী।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ৭ মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
রাফাহর তাল আস-সুলতান এলাকার বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এখনও বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। একজন বাসিন্দা একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে রয়টার্সকে বলেছেন, ‘তাল আল-সুলতানের সর্বত্র ট্যাঙ্কের গোলা পড়ছে। জীবন বাঁচাতে পশ্চিম রাফাহের অনেক পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।’
গাজায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ যুদ্ধের স্থান পরিবর্তন হওয়ার কারণে বারবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা সর্বশেষ রাফাহ শহরে আশ্রয় নিয়েছিল। চলতি মাসের শুরু থেকে এই শহরটিতেও হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
রয়টার্সের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পশ্চিম রাফাহর অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। বোমা ও গোলার আঘাতে বিধ্বস্ত সড়ক দিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছে, তাদের ক্লান্ত শিশুরা তাদের পিছনে হাঁটছে।
মোয়াদ ফুসাইফাস নামের এক বাসিন্দা সাইকেলে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, ‘এখানে প্রচুর আক্রমণ, ধোঁয়া ও ধুলো। এটা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে মৃত্যু... (ইসরায়েলিরা) সর্বত্র আঘাত করছে। আমরা ক্লান্ত।’
/ফিরোজ/
আরো পড়ুন