ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

বেলুচিস্তানে ইরানি বাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ৩০ মে ২০২৪   আপডেট: ১৪:৫৮, ৩০ মে ২০২৪
বেলুচিস্তানে ইরানি বাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত

ইরানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে ৪ পাকিস্তানি নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানিদের বহন করা একটি গাড়িতে ইরানের সীমান্ত রক্ষাবাহিনী গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ। 

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানান, বুধবার (২৯ মে) বেলুচিস্তান প্রদেশের মাশকেল সীমান্ত এলাকায় ইরানের সীমান্তরক্ষীরা পাকিস্তানিদের বহনকারী একটি গাড়িতে গুলি চালায়, এতে চারজন নিহত এবং দুইজন আহত হয়।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কেন ইরানি বাহিনী গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। চারজনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তেহরান বা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। উভয় পক্ষের নিরাপত্তা বাহিনী প্রায়ই এই অঞ্চলে কর্মরত চোরাকারবারি এবং বিদ্রোহীদের গ্রেপ্তার করে।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের ইরান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী পঞ্জগুর শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। এতে নিহত হয় দুইজন শিশু, আহত হয় আরও তিনজন। হামলার কারণ হিসেবে তেহরান বলেছিল, ইরানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী জইশ আল-আদলের ঘাঁটি রয়েছে পঞ্জগুর শহরে। সেই ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল।

সেই হামলার পর পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসলামাবাদ, এতে নিহত হয় শিশু ও নারীসহ ৭ জন। ইসলামাবাদ বলেছিল যে, সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক গোষ্ঠী বেলুচ লিবারেশন আর্মি ও বেলুচ লিবারেশন ফ্রন্টের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছিল।

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশ এবং ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত একটি এলাকায় ‘জঙ্গি' গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় রয়েছে। অনেকটা অনুন্নত হলেও উভয় অঞ্চল খনিজ সমৃদ্ধ হিসেবে পরিচিত।

ইরানের সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত এপ্রিলে তিনদিনের সরকারি সফরে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। প্রতিবেশী দুই মুসলিম দেশের মধ্যকার টানাপোড়েন মেটানো ছিল ওই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। রাইসির সফরকে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়েছিল।

/ফিরোজ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়