ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৬ জুন ২০২৪   আপডেট: ১২:২৪, ৬ জুন ২০২৪
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দিল্লির রোজ অ্যাভিনিউ আদালত এই জামিন আবেদন খারিজ করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আবগারি (মদ) দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর তিহার কারাগারে বন্দী ছিলেন কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচারের জন্য গত ১০ মে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের দিয়েছিলেন।

১ জুন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েকদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আরও ৭ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। যার প্রেক্ষিতে গত ১ জুন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দীর্ঘ শুনানি হয়। তবে দীর্ঘ শুনানির পর কেজরিওয়ালের জামিনের আবেদন ৫ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখেন বিচারক কাবেরী বায়েজা।

বুধবার ফের আদালতে শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির হয়েছিলেন কেজরিওয়াল। দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করেন এবং তাকে ১৯ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ১ জুন অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, গত ২ জুন পুনরায় তিহার কারাগারে ফিরে যান কেজরিওয়াল।

দ্য ওয়ালের খবরে বলা হয়েছে, আবারও কারাগারে যাওয়ার আগে কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অনেকে ভেবেছিলেন, দলের অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে তিনি কারাগারে ফিরে যাবেন সাবেক হিসাবে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। বরং আম আদমি পার্টির পক্ষ জানানো হয়, আগের মতো কারাগার থেকেই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল। 

তবে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে কারাগারে থেকে আদৌ মুখ্যমন্ত্রিত্ব করা সম্ভব কিনা। কারণ, কারাগারে মন্ত্রিসভার বৈঠক করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রয়োজনে মন্ত্রী ও অফিসারেরা দেখা করতে পারবেন না। অন্যদিকে, আইন অনুযায়ী অন্তত ২৫টি ক্ষেত্রে মন্ত্রী-অফিসাররা সরাসরি উপ-রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষর ছাড়া। আর সেই স্বাক্ষর মুখ্যমন্ত্রী জেলে বসে করবেন কীভাবে? ফাইল পাস না হলে সিদ্ধান্তও কার্যকর করতে পারবে না দিল্লির সরকার। তাই এই নিয়ে চূড়ান্ত কৌতূহল তৈরি হয়েছে। 

এমন পরিস্থিতিতে আম আদমি পার্টির একাংশের আশঙ্কা, কেজরিওয়াল কারাগারে থাকায় সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটার কারণে উপ-রাজ্যপাল কেন্দ্রের কাছে দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করতে পারেন।

এদিকে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি একটি আসনেও জয় পায়নি। ৭ আসনের ৭টিতেই জিতেছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি। 

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়