ঢাকা     শুক্রবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ২ ১৪৩১

গ্রামের বাসিন্দাদের প্রস্রাব পানে বাধ্য করেছে মিয়ানমারের সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ৬ জুন ২০২৪  
গ্রামের বাসিন্দাদের প্রস্রাব পানে বাধ্য করেছে মিয়ানমারের সেনারা

গত সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যের একটি গ্রামে মিয়ানমার সেনাদের অভিযানে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। গ্রামটি আড়াই দিনের সেনাদের সন্ত্রাসের ভয়াবহতার শিকার হয়েছিল। সেনারা চোখ বেঁধে বাসিন্দাদের মারধর করেছে, তাদের ত্বকে জ্বলন্ত পেট্রোল ঢেলে দিয়েছে এবং তাদের কাউকে প্রস্রাব পান করতে বাধ্য করেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেনারা গ্রামটিতে অভিযান চালানোর সময় সেনারা আরাকান আর্মির সমর্থকদের খুঁজছিল। আরাকান আর্মির সদস্যদের ব্যাপারে তথ্য জানতে গ্রামবাসীদের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। গ্রামটিতে ১৫ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৫১ জনকে "সহিংসভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং হত্যা করা হয়েছে। তবে আরাকান আর্মির অনুমান, এই সংখ্যা ৭০ এর বেশি।

আরো পড়ুন:

একজন নারী বিবিসিকে বলেছেন, ‘তারা পুরুষদের জিজ্ঞাসা করেছিল আরাকান আর্মি এই গ্রামে আছে কিনা। তারা যে উত্তরই দিয়েছিল-আরাকান আর্মি ছিল বা ছিল না বা তারা জানে না, সেনারা তাদের আঘাত করেছিল।’

মাত্র ছয় মাসের মধ্যে আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ এলাকা দখল করেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখলকারী জান্তাকে উৎখাত করার লক্ষ্যে একটি সম্মিলিত অভিযানে দেশের অন্যান্য অংশের জাতিগত বিদ্রোহীদের সাথে যোগ দিয়েছে আরাকান আর্মি।

ওই নারী বলেন, ‘আমি নিজের চোখে দেখেছি আমার স্বামীকে একটি সামরিক গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমার ছেলেকে আমাদের দুজনের কাছ থেকে আলাদা করা হয়েছে এবং আমি জানি না সে কোথায় আছে। এখন আমি জানি না আমার ছেলে ও স্বামী বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গ্রামটিতে এক হাজারেও বেশি পরিবার বাস করে। গ্রামবাসীদের দুদিন খোলা জায়গায় সূর্যের নিচে রাখা হয়েছিল। তাদের সামান্য কিছুও খেতে বা পান করতে দেওয়া হয়নি। কয়েক ডজন পুরুষকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ট্রাকে কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের অনেকেই এখনো ফিরে আসেনি।

ওই নারী বলেন, ‘তারা অনেক বেশি তৃষ্ণার্ত ছিল, সারাদিন রোদে দাঁড়িয়ে পানি ভিক্ষা চেয়েছিল। কিন্তু সেনারা পানির বোতলে প্রস্রাব করে পুরুষদের হাতে দিয়েছিল।’

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়