ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে লেবানন যেতে প্রস্তুত হাজার হাজার যোদ্ধা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:২৭, ২৪ জুন ২০২৪   আপডেট: ১২:৩৫, ২৪ জুন ২০২৪
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে লেবানন যেতে প্রস্তুত হাজার হাজার যোদ্ধা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নিতে হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগ দিতে ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠীর হাজার হাজার যোদ্ধা লেবাননে  প্রস্তুত। ইরান সমর্থিত দলগুলোর কর্মকর্তারা এবং বিশ্লেষকরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

অক্টোবরের শুরুতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে উত্তর ইসরায়েলে প্রায়ই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। চলতি মাসে দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ সামরিক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর উত্তরের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে শত শত রকেট ও বিস্ফোরক ড্রোন নিক্ষেপ করে প্রতিশোধ নিয়েছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হিজবুল্লাহকে সীমান্ত থেকে না সরিয়ে নিলে লেবাননে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছে।

গত এক দশকে, লেবানন, ইরাক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের ইরান সমর্থিত যোদ্ধারা সিরিয়ার ১৩ বছরের সংঘাতে একজোট হয়ে যুদ্ধ করেছে। তারা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের পক্ষে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করেছে। ইরান সমর্থিত দলগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আবারও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একজোট হতে পারে।

আরো পড়ুন:

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বুধবার এক বক্তৃতায় বলেছেন, ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং অন্যান্য দেশের নেতারা এর আগে হিজবুল্লাহকে সাহায্য করার জন্য কয়েক হাজার যোদ্ধা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে তিনি বলেছেন, তাদের বাহিনীর ইতিমধ্যে এক লাখ হাজার যোদ্ধা রয়েছে।

নাসরাল্লাহ বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছিলাম, আপনাদের ধন্যবাদ। কিন্তু আমাদের কাছে যে সংখ্যা আছে তা যথেষ্ঠ।’

তিনি জানান, যুদ্ধের বর্তমান পর্যায়ে হিজবুল্লাহ তার জনশক্তির একটি অংশ ব্যবহার করছে। তবে সর্বাত্মক যুদ্ধের ক্ষেত্রে তা পরিবর্তন হতে পারে। নাসরাল্লাহ ২০১৭ সালে একটি বক্তৃতায় সেই সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন,  ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের যোদ্ধারা এই ধরনের যুদ্ধের ‘অংশীদার’ হবে।

ইরান সমর্থিত লেবানিজ এবং ইরাকি গোষ্ঠীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হলে আশেপাশের অঞ্চল থেকে ইরান সমর্থিত যোদ্ধারা যোগ দেবে। এই ধরনের হাজার হাজার যোদ্ধা ইতিমধ্যে সিরিয়ায় মোতায়েন রয়েছে এবং তারা সহজেই ভঙ্গুর ও অচিহ্নিত সীমান্ত দিয়ে চলে আসতে পারে।

৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কিছু গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই ইসরায়েল ও তার মিত্রদের উপর হামলা চালিয়েছে। তথাকথিত ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ থেকে আসা দলগুলো জানিয়েছে, তারা ‘ঐক্যবদ্ধ রণকৌশল’ ব্যবহার করছে এবং তা করবে। ইসরায়েল যখন হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় তাদের আক্রমণ শেষ করবে তখনই যুদ্ধ বন্ধ করবে।

ইরাকের একটি ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তা বাগদাদে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন,‘যদি সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়, আমরা হিজবুল্লাহর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করব।

ইরাকের আরেকটি গোষ্ঠীটির এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের কয়েক জন উপদেষ্টা ইতিমধ্যে লেবাননে রয়েছেন।

লেবাননে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীর একজন কর্মকর্তাও জোর দিয়ে বলেছেন, ইরাকের পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্স, আফগানিস্তানের ফাতিমিয়ুন, পাকিস্তান জেইনাবিয়ুন এবং ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠীর যোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ নিতে লেবাননে আসতে পারে। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়