ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

রামমন্দির নির্মাণে ত্রুটি নেই, দাবি নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৩, ২৫ জুন ২০২৪   আপডেট: ২০:১৬, ২৫ জুন ২০২৪
রামমন্দির নির্মাণে ত্রুটি নেই, দাবি নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যানের

ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি, সরঞ্জাম বা অন্য কোনো ত্রুটি নেই বলে দাবি করেছেন শ্রীরামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারম্যান নৃপেন্দ্র মিশ্র। মঙ্গলবার তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে এ দাবি করেছেন।

নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘রামমন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে মানের সঙ্গে কোনও আপস করা হয়নি। কিন্তু মন্দিরের বিদ্যুতের লাইনগুলো বেয়ে পানি ভিতরে চলে আসছে। আর সেটাই চুঁইয়ে পড়ছে।’

২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাম মন্দির উদ্বোধন করেছিলেন। ওই সময়ই অভিযোগ উঠেছিল, মন্দিরের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই লোকসভা ভোট ‘নজরে’ রেখে উদ্বোধন করা হচ্ছে। মন্দির উদ্বোধনের পাঁচ মাস পূর্তির ঠিক পরেই সোমবার প্রকাশ্যে আসে রামমন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ থেকে পানি চুঁইয়ে পড়ার ঘটনা।

বর্ষার শুরুতেই রামলালার গর্ভগৃহের ছাদ থেকে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে জানান রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সতেন্দ্র দাস। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান পুরোহিত সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেন, ‘প্রথম বৃষ্টিতেই রামলালার মূর্তি স্থাপন করা গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হতে শুরু করেছে। বিষয়টিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং কী ঘাটতি রয়েছে তা খুঁজে বার করে মেরামত উচিত।’

মন্দিরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অপ্রতুল বলেও সোমবার অভিযোগ করেন সত্যেন্দ্র।

তিনি বলেন, ‘মন্দির থেকে পানি বের করার কোনো জায়গা নেই। বৃষ্টি আরও বাড়লে মন্দিরে পূজার্চনা করাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’ 

এই পরিস্থিতিতে কার্যত মন্দিরের নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন নৃপেন্দ্র। 

তিনি বলেন, গর্ভগৃহে শুধু স্নান ও ভগবানকে সাজানোর জন্য প্রয়োজনীয় জলের ব্যবস্থা  রয়েছে। ঋষি ও সাধুদের পরামর্শে ভগবানকে স্নান ও সাজানোর জন্য ব্যবহৃত পানি একটি পুকুরে সংগ্রহ করা হয়। ভক্তদের চাহিদা অনুযায়ী স্নানের পানি সরবরাহ করা হয়। পানি নিষ্কাশনের জন্য সব মণ্ডপে ড্রেনেজ করা হয়েছে।

তার মতে, মন্দিরের মেঝে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি বেরিয়ে যেতে পারে। নাগর স্টাইলে মন্দিরটি চারদিক থেকে বন্ধ নেই। মন্দিরের মণ্ডপের ডান ও বাম পাশের অংশগুলো খোলা। প্রবল বৃষ্টির কারণে মণ্ডপ ছিটকে যেতে পারে। নির্মাণের কারণে মন্দির চত্বরে পানি আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়