বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সেনাপ্রধান গ্রেপ্তার
![বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সেনাপ্রধান গ্রেপ্তার বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সেনাপ্রধান গ্রেপ্তার](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024June/Bolivia-2406270249.jpg)
বলিভিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ জুন) দেশটির রাজধানী লাপাজে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান অভিযান চালায়। তবে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা শেষপর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সেনাবাহিনী প্রধানকে বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলিভিয়ার পুলিশ এ অভ্যুত্থান চেষ্টার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। বিদ্রোহী সামরিক অফিসার ইনচার্জ জেনারেল জুয়ান হোসে জুনিগা বলেছিলেন, যে তিনি ‘গণতন্ত্রের পুনর্গঠন’ করতে চান। তিনি এখন গ্রেপ্তার।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বুধবার বলিভিয়ার রাজধানী লাপাজের ঐতিহাসিক প্লাজা মুরিলো চত্বরে জড়ো হন সেনা সদস্যরা। এ সময় তাদের সঙ্গে ট্যাংকসহ অন্যান্য সাঁজোয়া যান ছিল। মুরিলো চত্বরে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কংগ্রেস ভবন রয়েছে। অভিযানের একপর্যায়ে একটি ট্যাংক প্রেসিডেন্টের বাসভবনের ফটক ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালায়।
এসময় প্রেসিডেন্টের বাসভবনের বাইরে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে সৈন্যদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান জেনারেল হুয়ান হোসে সুনিয়া বলেন, ‘আমরা এই জন্মভূমি পুনরুদ্ধার করতে যাচ্ছি। সশস্ত্র বাহিনী দেশে গণতন্ত্র পুনর্গঠন করতে চায়, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। একটি এলিট শ্রেণি দেশ দখল করে নিয়েছে, যারা দেশকে ধ্বংস করেছে। হাতে গোনা সেই একই ৪০-৫০ জনকে দেশ পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।’
সেনাবাহিনীর এই অভিযানের পরপরই হুয়ান হোসে সুনিয়াকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট আর্চি। তিনি সেনাবাহিনীর এই তৎপরতাকে ‘অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানান। নতুন সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় হোসে উইলসন সানচেজকে। তিনি সেনাসদস্যদের তাদের ব্যারাকে ফিরে যাওয়া নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পরই প্লাজা মুরিলো চত্বর থেকে সেনাসদস্য ও ট্যাংকগুলোকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।
এদিকে সেনাবাহিনীর এ কাজের নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভা মোরালেস। তিনি জেনারেল জুনিগা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনার আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির আইন বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, এর একটি ফৌজদারি তদন্ত হবে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানিয়েছেও দেশটি।
/ফিরোজ/
আরো পড়ুন