ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আসামের মুসলিমদের নিয়ে বিস্ফোরক হিমন্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৮ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১১:৫১, ১৮ জুলাই ২০২৪
আসামের মুসলিমদের নিয়ে বিস্ফোরক হিমন্ত

ভারতের আসাম রাজ্যে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বুধবার ঝাড়খণ্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মুসলিম জনসংখ্যা আমার রাজ্যে ৪০ শতাংশে পৌঁছে গেছে। জনসংখ্যার ম্যাপে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা একটি বড় ইস্যু।’ খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ‘১৯৫১ সালে আসামের মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ ছিল মুসলিম। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়। এটা জীবন-মৃত্যুর ব্যাপার।’

এ সময় তিনি হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন ঝাড়খণ্ড সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেন। চলতি বছরেই ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে। জেএমএমের (ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা) স্পষ্ট করা উচিত যে, তাদের দল কেন সরকারে আছে যখন তারা অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়িত করতে পারছে না। আমি প্রতিদিন আসামে এই কাজটি করি।’

আসামের মুখ্যমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী এই মন্তব্য বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। যদিও তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের অভিযোগ নতুন ঘটনা নয়। হিমন্তকে এর আগেও অনেকবার মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করতে দেখা গেছে। 

এদিকে, একটি নির্বাচিত সরকারের প্রধানের এভাবে নির্দিষ্ট ধর্মের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করা কতটা শোভনীয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। 

আসামের সাংসদ গৌরব গগৈ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মা ঝাড়খণ্ডে গিয়ে স্মৃতিশক্তিজনিত রোগে ভুগছেন বলে মনে হচ্ছে। মাত্র দুই মাস আগে তাকে আসামের সংখ্যালঘু (মুসলিম) অধ্যুষিত এলাকায় নাচ-গান করতে দেখা গেছে। স্পষ্টতই তিনি যখন বিজেপির জন্য ভোট চেয়েছিলেন, তখন এটি তার কাছে জীবন ও মৃত্যুর বিষয় ছিল না। লোকসভা নির্বাচনের সময় বিশ্বশর্মার প্রচারণার কথা উল্লেখ করে এক্স-পোস্টে এ কথা বলেন তিনি। 

ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের মুখপাত্র সোনাল শান্তিও হিমন্তের মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। শান্তি বলেন, ‘বন্যার মধ্যে আসামের মানুষকে ত্রাণ দেওয়ার পরিবর্তে, হিমন্ত ঝাড়খণ্ডে সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

/ফিরোজ/

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়