ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডের আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ শিশু ও দুর্বল প্রাপ্তবয়স্ক নির্যাতিত হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৫৫, ২৪ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৯:৫৬, ২৪ জুলাই ২০২৪
নিউজিল্যান্ডের আশ্রয় কেন্দ্রে ২ লাখ শিশু ও দুর্বল প্রাপ্তবয়স্ক নির্যাতিত হয়েছে

গত ৭০ বছরে নিউজিল্যান্ডে রাষ্ট্র ও ধর্মীয় বিশ্বাসভিত্তিক আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় দুই লাখ শিশু, যুবক এবং দুর্বল প্রাপ্তবয়স্করা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশটির একটি যুগান্তকারী তদন্ত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

এর অর্থ হল ১৯৫০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু ধর্ষণ, বৈদ্যুতিক শক এবং জোরপূর্বক শ্রমসহ কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। 

অ্যাবিউজ ইন কেয়ার রয়্যাল কমিশন অফ ইনকোয়ারি ছয় বছরের তদন্তের পর প্রায় তিন হাজার মানুষের সাক্ষাৎকারের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তদন্তটি নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল। এর জন্য প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি একে ‘সমাজ হিসাবে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে একটি অন্ধকার এবং দুঃখজনক দিন’ বলে অভিহিত করেছেন।

যারা নির্যাতিত হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই সুবিধাবঞ্চিত বা প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ। এদের মধ্যে মাওরি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় মানুষ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা রয়েছেন।

আনা থম্পসন নামে নির্যাতনের শিকার এক নারী কমিশনকে জানিয়েছেন, কীভাবে তাকে ধর্মীয় বিশ্বাসভিত্তিক এতিমখানায় শারীরিক এবং মৌখিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল।

তিনি বলেছেন, ‘রাতে, নানরা আমার জামাকাপড় খুলে ফেলত, আমাকে বিছানায় মুখ নীচু করে বেঁধে দিত এবং বাকলসহ বেল্ট দিয়ে মারতেন। এতে আমার ত্বকে কেটে যেতো এবং রক্তপাত হতো এবং আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে বসে থাকতে পারতাম না।’

জেসি কেট কীভাবে আট বছর বয়সে অকল্যান্ডের একটি আবাসিক স্কুলের কর্মীদের হাতে মারধর ও ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন। 

মোয়াপুলু ফ্রান্সেস তাগালোয়া নামের আরও একজন ১৯৭০ এর দশকে পাঁচ বছর বয়সে গির্জার একটি এতিমখানায় ছিলেন। তিনি দুই বছর একজন যাজকের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

ঢাকা/শাহেদ


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়