ঢাকা     সোমবার   ১৪ এপ্রিল ২০২৫ ||  বৈশাখ ১ ১৪৩২

মালিতে কয়েক ডজন সেনাসদস্য হতাহত, দাবি বিদ্রোহীদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ২৮ জুলাই ২০২৪   আপডেট: ১৫:০৮, ২৮ জুলাই ২০২৪
মালিতে কয়েক ডজন সেনাসদস্য হতাহত, দাবি বিদ্রোহীদের

মালির উত্তর তুয়ারেগ বিদ্রোহীরা বলেছে, তারা আলজেরিয়ার সীমান্তের কাছে দুই দিনের লড়াইয়ে মালির কয়েক ডজন সেনা এবং রুশ ওয়াগনা বাহিনীর সদস্য নিহত ও আহত করেছে। অন্যদিকে মালির সেনাবাহিনী বলছে, তারা দুজন সেনা সদস্য হারিয়েছে কিন্তু প্রায় ২০ বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে। 

রোববার (২৮ জুলাই জুলাই) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

তুয়ারেগ হলো একটি জাতিগোষ্ঠী, যারা উত্তর মালির কিছু অংশসহ সাহারা অঞ্চলে বসবাস করে।

বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি ২০১২ সালে মালির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ শুরু করেছিল কিন্তু বিদ্রোহটি পরে ইসলামপন্থি দলগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর গোষ্ঠীটি ২০১৫ সালে বামাকোর (মালির রাজধানী) সঙ্গে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

কিন্তু বিদ্রোহী আন্দোলন, শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য স্থায়ী কৌশলগত কাঠামো (সিএসপি-পিএসডি) ২০২২ এর শেষে আলোচনা থেকে সরে আসে।

সিএসপি-পিএসডি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার সীমান্ত শহর টিনজাউয়াটেনে লড়াইয়ে সাঁজোয়া যান, ট্রাক এবং ট্যাংক জব্দ করেছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিও বলেছে, তারা একটি হেলিকপ্টারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা শত শত কিলোমিটার দূরে কিদাল শহরে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এদিকে মালির সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের দুই সেনা সদস্য নিহত ও ১০ সেনা সদস্য আহত হয়েছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার শুক্রবার একটি রুটিন মিশনে যাওয়ার সময় কিডালে বিধ্বস্ত হয় কিন্তু কেউ নিহত হয়নি।

এদিকে, রাশিয়ান বেশ কয়েকজন সামরিক ব্লগার জানিয়েছেন, আলজেরিয়ার সীমান্তের কাছে একটি অতর্কিত হামলায় ওয়াগনার গ্রুপের অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে।

খ্যাতনামা রাশিয়ান সামরিক ব্লগার সেমিয়ন পেগভ বলেছেন, ‘ওয়াগনার এর সদস্যরা মালির সরকারি সেনাদের সঙ্গে একটি গাড়ি বহরে ছিলেন। এ সময় অতর্কিত হামলায় ওয়াগনার বাহিনীর অন্তত ২০ যোদ্ধা নিহত হন। কয়েকজনকে বন্দীও করা হয়।’

তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে ব্লগারদের দাবি যাচাই করতে পারেনি।  

ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থার বিরুদ্ধে একটি সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়ার দুই মাস পর, আগস্টে এই বাহিনীর নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন একটি বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। এরপর বাহিনীটির ভবিষ্যত প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

মালির সামরিক কর্তৃপক্ষ ২০২০ এবং ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর থেকে বছরব্যাপী ইসলামপন্থি বিদ্রোহের সঙ্গে লড়াই করছে।

মালির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ওয়াগনার বাহিনী সেখানে ভাড়াটে যোদ্ধা নয় বরং প্রশিক্ষক। রাশিয়া থেকে কেনা সরঞ্জাম দিয়ে স্থানীয় সেনাদের সাহায্য করছে।

বাজা টেলিগ্রাম নিউজ চ্যানেল রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ওয়াগনার যোদ্ধারা ২০২১ সাল থেকে মালিতে রয়েছেন।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়