ঢাকা     সোমবার   ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৩ ১৪৩১

পদত্যাগ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি শেখ হাসিনা, দাবি জয়ের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১২ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ০৯:১০, ১২ আগস্ট ২০২৪
পদত্যাগ নিয়ে কোনো বিবৃতি দেননি শেখ হাসিনা, দাবি জয়ের

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসে গতকাল ‘শেখ হাসিনার বিবৃতি’ দাবি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তবে এটি পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। রোববার (১১ আগস্ট) রাতে এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় এ কথা জানান তিনি।

সজীব ওয়াজেদ জয় রোববার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া বার্তায় লেখেন, ‘আমার মায়ের পদত্যাগের বিষয়ে একটি বিবৃতি এক সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়েছে, যা পুরোপুরি মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি একটু আগে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা ঢাকা ছাড়ার পরে এ পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেননি।’

রোববার (১১ আগস্ট) ইকোনমিক টাইমস শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয়, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার কারণ জানিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য দিয়েছেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করেছি যাতে দেশে আরও মৃত্যুমিছিল না হয়। তারা আপনার (ছাত্রদের) লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, আমি তা করতে দিইনি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াই। আমি যদি সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ছেড়ে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। যুক্তরাষ্ট্রকে যদি বঙ্গোপসাগরে প্রভাব খাটাতে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতাম।’ 

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি যদি এখনও দেশে থাকতাম, তাহলে আরও প্রাণহানি ঘটত। দেশের আরও সম্পদ নষ্ট করা হতো। তাই আমি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমি বাংলাদেশের নেতা হয়েছিলাম কারণ আপানারা আমাকে বেছে নিয়েছিলেন। আপনারাই আমার শক্তি ছিলেন। তবে আজ যখন শুনতে পারছি যে আমার দলের নেতারা আক্রান্ত, আমার হৃদয় তখন কাঁদে। আমি শিগগির বাংলাদেশে ফিরব। আওয়ামী লিগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যে আমি চিরকাল প্রার্থনা করি। আর আমি দেশের শিক্ষার্থীদের কখনও রাজাকার বলিনি। আমার বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছিল।’

গত ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে তার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান হয়। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের টানা তিন দিন দেশে কার্যত কোনো সরকার ছিল না। পরে ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়