যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭ রাজ্যে বাল্যবিবাহ এখনো বৈধ

বাল্যবিবাহ নিয়ে বিশ্বব্যাপী সংলাপ প্রায়ই দক্ষিণ এশিয়াকে ঘিরে হয়। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয় বলে আলোচনা করা হয়। তবে বিশ্বে ‘সুপার পাওয়ার’ হিসাবে পরিচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাল্যবিবাহের হার যে এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় কোনো অংশে কম নয় তা নিয়ে আলোচনা খুব একটা হয় না।
আনচেইনড অ্যাট লাস্ট নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে বাল্যবিবাহ বৈধ ছিল। ২০২৪ সালে তা কমে অবশ্য ৩৭টি রাজ্যে চলে এসেছে।
সংস্থাটির একটি গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাল্যবিবাহ ৩৭টি রাজ্যে বৈধ রয়ে গেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটি একটি উদ্বেগজনক হারে ঘটছে।’
এতে জানানো হয়েছে, ২০০০ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিন লাখেরও বেশি ১০ বছরের কম বয়সী শিশুর বিয়ে হয়েছে - এদের বেশিরভাগেরই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের সাথে বিয়ে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করা হলেও তাদের আইনি অধিকার সীমিত। এ কারণে তাদের সহজেই জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে দিতে পারেন অভিভাবকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘যদি তারা জোরপূর্বক বিয়ে থেকে বাঁচতে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে, একজন আইনজীবীর কাছ থেকে সাহায্য পেতে, গার্হস্থ্য সহিংসতার আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে বা একজন আইনজীবির সহযোগিতা চায় তাহলে তারা অপ্রতিরোধ্য আইনি এবং বাস্তব বাধার সম্মুখীন হয়।’
এতে আরো বলা হয়েছে,‘সম্ভবত সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে, অভিভাবক বা অন্য প্রতিনিধির মাধ্যম ছাড়া শিশুদের সাধারণত একটি আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দেওয়া হয় না, যেমন একটি প্রতিরক্ষামূলক আদেশ চাওয়া বা এমনকি বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করা। এই অমানবিক আইনি ব্যবস্থা ‘বিবাহ বন্ধনে’ আবধ্য রাখতে বাধ্য করে।’
ঢাকা/শাহেদ