এমপক্সের সংক্রমণের ওপর বিশ্বব্যাপী নজরদারি বৃদ্ধি
এমপক্সের সংক্রমণের বিরুদ্ধে নজরদারি প্রচেষ্টা বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি করা হচ্ছে। বর্তমান প্রাদুর্ভাবের মোকাবিলায় নতুন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি কাজ না করায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল শুক্রবার এমপক্সের ঝুঁকির স্তরের মূল্যায়ন করেছে। নিম্ন থেকে মাঝারি পর্যন্ত এই স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আফ্রিকার বাইরে সুইডেনে প্রথম এমপক্সের সংক্রমণের তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানায়, সেদেশেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সংক্রমণ শনাক্তে ভ্রমণকারীদের পরীক্ষা শুরু করবে। যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংস্থা জানিয়েছে, দেশে ভাইরাসের সংক্রমণের কোনো ঘটনা নেই এবং ঝুঁকি কম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতে সংক্রমণের ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল জানিয়েছে, ইউরোপে আরো সংক্রমণের ঘটনা ঘটতে পারে।
সংস্থার পরিচালক পামেলা রেন্ডি-ওয়াগনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সংযোগের কারণে, আমাদের আরও সংক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো (ডিআরসি) থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার এমপক্সের সংক্রমণকে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। এই এমপক্স আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল। এমপক্স মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়, যেমন যৌনতা, ত্বক থেকে ত্বকের সংস্পর্শ এবং শ্বাস-প্রশ্বাস। এর উপসর্গগুলো ফ্লুর মতো, আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করে। আক্রান্ত প্রতি ১০০ জনের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হতে পারে। মাঙ্কিপক্সের দুটি ধরণ আছে-ক্লেড ওয়ান এবং ক্লেড টু।
ঢাকা/শাহেদ