ঢাকা     রোববার   ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২৯ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

আরজি কর হাসপাতালে অভিযুক্ত ধর্ষকের ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ বন্ধুর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৪০, ১৮ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ২২:৫৫, ১৮ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর হাসপাতালে অভিযুক্ত ধর্ষকের ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ বন্ধুর

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসক খুনে গ্রেপ্তার সঞ্জয় রায়ের অতীত জীবনের ভয়ঙ্কর তথ্য তুলে ধরেছেন তারই এক বন্ধু। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সঞ্জয়ের এক বন্ধু বলেন, ‘একটা সময় আমিও ওর সঙ্গে মিশতাম। নেশায় আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় দেখেছিলাম সঞ্জয়ের ভয়াবহ রূপ। পেটে মদ পড়লে ও সব কিছু করতে পারে। ও রাত দিন মদ খেয়ে থাকত। তবে বছর চারেক আগের ঘটনা। ও মদ খেয়ে আত্মীয় স্বজনদেরও খারাপ নজরে দেখত। একবার ও তারই এক নিকট আত্মীয়ার( পরিচয় গোপন রাখা হল) গায়ে কেরোসিন ছিটিয়ে দিয়েছিল। ভয় দেখানো জন্য। তাকে ভোগ করতে গিয়ে বাধা পেয়েছিল। তারপরই ভয় দেখানো শুরু করেছিল। মেয়েদেরকে ব্ল্যাকমেলিং করত। লালসা মেটানোর জন্য ও সব কিছু করতে পারত। সেই কথা জানার পরে বন্ধুরা ওকে ধরে মারধর করে। তারপর কিছুদিন ওকে আর দেখা যায়নি। ইদানিং সেই সঞ্জয়ের সঙ্গে পুরনো বন্ধুদের আর বিশেষ যোগাযোগ ছিল না। মাঝেমধ্যে রাতের দিকে আসত। তখনও মদ্যপ অবস্থায় থাকত।’

সঞ্জয়ের ওই পুরনো বন্ধুর দাবি, সঞ্জয় প্রথমদিকে বন্ধুদের সঙ্গে মদ খেত। পরবর্তী সময় একলাই খেত। রাতের দিকে পাড়ায় দেখা যেত। পুলিশের লোক বলে কেউ বিশেষ কিছু বলতে সাহস পেত না। তবে একার পক্ষে ওর এই কাজ করা সম্ভব নয়। এর পেছনে আরও লোক থাকতে পারে। 

সঞ্জয়ের একাধিক পুরনো বন্ধু জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই সঞ্জয় মদ খায়। এলাকায় মেয়েদের টার্গেট করত। এটা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গেও ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও যে সঞ্জয় তার পুরনো অভ্য়াস থেকে বেরিয়ে যায়নি এটা ফের বোঝা যাচ্ছে। 

তবে এলাকায় এক বয়স্ক প্রতিবেশী বলেন, ওর হাসিটা ভয়ঙ্কর। তবে মদ খেলে সে যেকোনো কাণ্ড ঘটাতে পারে। 

আসলে এলাকায় ঘুরলেই দেখা যাচ্ছে সঞ্জয়ের নামটা সঙ্গে মদ্য়প, যৌন লালসা এই দুটো শব্দ একেবারে সবদিক থেকে জড়িত। তবে ইদানিং কলকাতা পুলিশে চাকরি করছে বলে এলাকায় প্রচার হয়ে গিয়েছিল। ফলে কেউ আর বিশেষ মুখ খুলতে পারতেন না। 

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়