ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৭ ১৪৩১

গাজায় ৩ দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ৩০ আগস্ট ২০২৪   আপডেট: ১০:৩৯, ৩০ আগস্ট ২০২৪
গাজায় ৩ দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল: জাতিসংঘ

পোলিও আক্রান্ত ফিলিস্তিনি শিশু আবদুল রহমান। গাজায় গত ২৫ বছরের মধ্যে প্রথম পোলিও আক্রান্ত এই ঘটনা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পোলিও টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে অন্তত ৩ দিনের জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। ওই ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও মানবিক যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকতে পারে।

ডব্লিউএইচও বলছে, প্রতিদিন গাজার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে অন্তত ৮ ঘণ্টা যুদ্ধ বন্ধ রাখার লক্ষ্যে চুক্তি করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনে ডব্লিউএইচওর প্রতিনিধি রিক পিপারকর্ন বলেন, মধ্য গাজায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ দিনব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। টিকাদানের এ সময়জুড়ে মানবিক যুদ্ধবিরতি বজায় থাকবে।

আরো পড়ুন:

পয়োব্যবস্থার অভাব, স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা ও টিকা–সংকটে গাজায় দ্রুত পোলিও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভাইরাসটি ইসরায়েলেও ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলের প্রতি টিকাদান কর্মসূচির জন্য অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। তাদের তীব্র চাপের মুখে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস পোলিও টিকাদানের জন্য ইসরায়েলের মানবিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছে। সংগঠনটির কর্মকর্তা বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত হামাস।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহামেদ এলমাসরি মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় ইসরায়েলকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে তিনি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।

গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে যারা অগণিত সমস্যায় ভুগছেন , তাদের কী হবে? অনেক মানুষ সত্যিকার অর্থে ক্ষুধায় মারা যাচ্ছেন। তাহলে কেন বড় পরিসরে আরও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়? এমন প্রশ্নের জবাবে এলমাসরি বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর একেবারেই স্পষ্ট। কারণ, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চায় না। তারা এটি স্পষ্ট করেছে যে তারা গাজায় কমবেশি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুদ্ধ জারি রাখতে চায়।

টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের দুই হাজারের বেশি কর্মী প্রস্তুত আছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেন, তাদের ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে তিন দিনের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শেষ করা সম্ভব না হলে তাদের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে।

সূত্র: বিবিসি

/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়