ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ধ্বংসের দাবি হুতিদের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪  
যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি এমকিউ-৯ ড্রোন ধ্বংসের দাবি হুতিদের

ইয়েমেনে আরও একটি মার্কিন সামরিক নজরদারি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে হুতি বিদ্রোহীরা। ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জানিয়েছে, তাদের দেশের উপর দিয়ে উড়ন্ত একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের। 

ইয়েমেনে প্রায় ৩ কোটি ডলার মূল্যের মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার সর্বশেষ ঘটনা এটি। বিদ্রোহী গোষ্ঠটি বলেছে, শনিবার রাতে হুতি নিয়ন্ত্রত এলাকায় মার্কিন বিমান হামলার জবাব দিয়েছে তারা।

এদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছে, তারা এই দাবি সম্পর্কে অবগত রয়েছে কিন্তু ইয়েমেনে মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করার কোনো রিপোর্ট এখনও পায়নি।

হুতি বিদ্রোহীরা আগের মতোই তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো ছবি বা ভিডিও তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করেনি। যদিও এ ধরনের ফুটেজ গোষ্ঠীটির টেলিভিশন চ্যানেলে পরবর্তীতে প্রচার করা হতে পারে।

অ্যাসোসিয়েটড প্রেসের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করার পর থেকে হুতিরা বেশ কয়েকবার মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে হুতিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর হামলা জোরদার করেছে।  

হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি রোববার এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেন। তিনি বলেন, হুতি যোদ্ধারা ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তেল ও গ্যাসক্ষেত্র সমৃদ্ধ মারিব প্রদেশ ২০১৫ সাল থেকে হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের মিত্রদের দখলে রয়েছে।

ড্রোনটি কোন অস্ত্রের সাহায্যে ভূপাতিত করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া। তবে সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের তৈরি সারফেস টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করে ড্রোনটি ভূপাতিত করা হয়েছে। 

ইরান বেশ কয়েক বছর ধরে হতিদেরকে ৩৫৮ নামের সারফেস টু এয়ার মিসাইল সরবরাহ করে আসছে। যদিও তেহরান বরাবরই হুতিদের অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানের তৈরি অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে এবং ইয়েমেনগামী জাহাজে পাওয়া গেছে। 

হুতিদের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, তাদের যোদ্ধারা নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের বিজয় এবং প্রিয় ইয়েমেনের প্রতিরক্ষায় তাদের জিহাদি দায়িত্ব পালন চালিয়ে যাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী অসংখ্য মনুষ্যবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে থাকে, এর মধ্যে এমকিউ-৯ রিপার বহুল ব্যবহৃত। বড় আকৃতির এই ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। এটি ১৬টি হেলফায়ার মিসাইল বহনে সক্ষম। ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ২৭ ঘণ্টা ধরে একটানা ওড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ড্রোনের। দাম প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার। 

মার্কিন সামরিক বাহিনী এবং সিআইএ বহু বছর ধরেই ইয়েমেনে এই ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।

/ফিরোজ/


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়